বিএসএফের গুলি, সীমান্তে মৃত যুবক

আনসারুল বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুরের বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গ্রামেরই একটি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, ইট ভাটায় কাজ করতে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সোমবার ভোরে বিএসএফের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনসারুল শেখ (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ানও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিবারের দাবি, তিনি ইট ভাটার শ্রমিক। এলাকার বাসিন্দারা মৃতদেহ রাস্তায় নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

Advertisement

আনসারুল বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুরের বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গ্রামেরই একটি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, ইট ভাটায় কাজ করতে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করলেও ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিএসএফ কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর চারটে নাগাদ কুয়াশার সুযোগে শোভাপুর সীমান্তে দু’টি স্থানে কাঁটাতার কেটে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের তা নজরে আসে। পাচারকারীদের একজন হাঁসুয়া নিয়ে বিএসএফের এক জওয়ানের বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে আঘাত করে।

Advertisement

বিএসএফের দাবি, হামলা রুখতেই দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সেই সময়ই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনসারুলের। তাঁর বুকে গুলি লাগে। আনসারুলের বাবা জালাল শেখ পেশায় দিনমজুর। তাঁর চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে আনসারুলই বড়ো। জালাল বলেন, “বিএসএফ প্রকৃত পাচারকারীদের না পেয়ে আমার ছেলেকে গুলি মেরে খুন করল।” বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের আইজি পিএসআর আনজানেইলু বলেন, “কাঁটাতার কেটে কিছু দুষ্কৃতী গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। জওয়ানদের উপরে হামলা হয়। বাধ্য হয়ে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছে। তবে ওই যুবকের মৃত্যু কী ভাবে হল, জানা নেই। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement