তৃণমূল নেতার ইস্তফায় জল্পনা

শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ কলেজ ও নিউটাউন গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ইস্তফা দেন ওই যুব নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দলের অন্দরেই।

Advertisement

শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ কলেজ ও নিউটাউন গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ইস্তফা দেন ওই যুব নেতা। শনিবার হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে। দলে সৌরভ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত যুব সভাপতি সমর ভট্টাচার্য। দলের একাংশ মনে করছেন অসহযোগিতার অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা যেত। তবে কেন তিনি ইস্তফা দিলেন, তার উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। এ কী গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

দলীয় সূত্রে খবর সমরবাবু পরিচালন সমিতিগুলিতে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। তাঁর এই ইস্তফা দলে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে সৌরভ চক্রবর্তী জানান, রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে পদত্যাগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তাঁর কাছে কোনও পদত্যাগপত্র আসেনি। শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি তথা বিবেকান্দ কলেজ ও নিউটাউন গার্লস স্কুলের সভাপতি কনজ বল্লভ গোস্বামী বলেন, ‘‘পদত্যাগপত্র পেয়েছি। অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করব।’’

Advertisement

যুব তৃণমূল একাধিক কর্মী সমর্থক সমরবাবুর পদত্যাগ পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করায় আলিপুরদুয়ারের জেলা রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। সমর ভট্টাচার্য বলেন,‘‘আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল বেশ কিছু অনিয়ম হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে দালালরা জড়িত। অনেক কর্মী সময়মতো আসেন না। পরিচালন সমিতিতে থেকে প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছেন কিন্তু এক শ্রেণির কর্মীর জন্য তা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। বিবেকানন্দ কলেজে শিক্ষকরা সময় মতো আসেন না। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। নিউটাউন গার্লসস্কুলেও পড়ুয়াদের জন্য বেশ কিছু কাজ করা যায় কিন্তু হচ্ছে না। সে জন্যই পদ গুলি থেকে অব্যহতি নিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।

দলের অন্দরে খবর, দিন কয়েক আগে আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালে দু’জন অস্থায়ী কর্মী নেওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত। হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান সমরবাবুর অনুগামী কিছু অস্থায়ী কর্মী। তাদের দাবি ছিল তাদের বেছে দেওয়া কর্মী নিতে হবে। এ দিন হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দায়িত্বে থাকা রাজা সাহা জানান, তাঁর কাছে কোনও পদত্যাগ পত্র আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন