রবিবার বালুরঘাটে।
রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রথযাত্রা ঘিরে জনজোয়ারে মাতল কোচবিহার। রবিবার বিকেল ৫টায় প্রথা মেনে মদনমোহন দেব বিগ্রহ রথে সওয়ার হন। রাজ পরিবারের দুয়ারবক্সি প্রবীণ বাসিন্দা অমিয় দেববক্সি দড়ি টেনে রথযাত্রার সূচনা করার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। অমিয়বাবুর পরিবর্তে তাঁর ভাই অজয় দেববক্সি প্রথম রথের দড়ি টানেন। কড়া পুলিশ পাহারায় রথটি মদনমোহন মন্দির থেকে বিশ্বসিংহ রোড, মীনাকুমারি চৌপথী, এনএন রোড ঘুরে রাজবাড়ি লাগোয়া কেশব রোড ধরে গুঞ্জবাড়ি পৌঁছয়। সেখানে ডাঙ্গার-আই মন্দির চত্বরের এক মন্দিরে উল্টো রথের আগের রাত পর্যন্ত বিগ্রহ রাখা হবে। কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ডের সদস্য মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা এই দিন বলেন, “ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আয়োজনে খামতি রাখা হয়নি। এ বার বাজেটও ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে এ দিন থেকে গুঞ্জবাড়িতে সপ্তাহব্যাপী মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন কোচবিহারের নতুনপল্লি এলাকায় ইসকনের রথযাত্রা সূচনা করেন পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক।
বাঁ দিক থেকে কোচবিহার, ধূপগুড়ি, রায়গঞ্জ ও মালদহে তোলা নিজস্ব চিত্র।
রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির উদ্যোগে রবিবার সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গনে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির সহ নানা সেবামূলক কর্মসূচি হয়। এর পর নামগানের সঙ্গে চলে আদিবাসী মহিলাদের সাঁওতালি নাচ, গ্রামীণ লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে দড়ি টেনে রথযাত্রার সূচনা করেন জেলাশাসক তাপস চৌধুরী, পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র। মন্দির প্রাঙ্গনে দিনভর জনতার মধ্যে প্রসাদ বিলি হয়। বালুরঘাটের দিপালীনগর মাঠে রথ মেলায় বহু মানুষের সমাগম হয়। রথতলা এলাকাতেও মেলা হয়।
আলিপুরদুয়ার, হ্যামিল্টনগন্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিক্রমা করল রথ। রবিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ি থেকে রথ বের হয়। শহরের ৪০ বছর পুরোনো রথ রথ যাত্রা উপলক্ষে দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গনে লটকা, মাটির পুতুল সহ রকমারি দ্রব্য সাজিয়ে বসেছিল বিক্রেতারা। আলিপুরদুয়ার জংশন ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনির রথ যাত্রা এবছর ৬২ বছর পড়ল। দড়ি টেনে রথযাত্রার সূচনা করেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার। এই সবের পাশাপাশি হ্যামিল্টনগঞ্জে কালীবাড়ি পূজা কমিটির রথ যাত্রা এ বছর ৬৪ বছরে পড়ল।