দেশবন্ধুপাড়ায় নির্মীয়মান বাড়ি কুয়ো থেকে উদ্ধার খুলি-হাড়। —নিজস্ব চিত্র।
কুয়ো সাফ করাতে গিয়ে উদ্ধার হল মানুষের খুলি ও হাড়গোড়। সোমবার শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার এনটিএস মোড় সংলগ্ন একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির কুয়ো থেকে খুলি ও কিছু হাড় উদ্ধার হয়েছে। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ তা বাজেয়াপ্ত করেছেন। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কাউকে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই সন্দেহ। তার উপরে বাড়িটি গত চার দশকে অন্তত ৩ বার হাতবদল হয়েছে বলে বাসিন্দারা কয়েক জন জানান। ফলে, নানা সময়ে যে সব পরিবার ওখানে বাস করেছেন এবং এখনও করছেন, তাদের চেনাজানা কেউ নিখোঁজ কি না তা পুলিশকে খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “মাথার খুলি ও হাড়গুলি ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ডিএনএ পরীক্ষা হবে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হবে।”
বর্তমানে ওই বাড়ির মালিক প্রণব হালদার। তিনি সোনার দোকানের মালিক। তিনি জানান, ২০০৭ সালে মনোজ বসুমল্লিক নামে এক জনের কাছ থেকে কুয়ো সহ জমিটি কেনেন। ২০১০ সালে প্রণববাবু ওই জমিতে একটি পাঁচ তলা বাড়ির কাজ শুরু করান। মাঝে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি ফের কাজ শুরু হয়। এ দিন পুরোনো কুয়োটি পরিষ্কার করানোর কাজ শুরু করান প্রণববাবু। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সাফাই কর্মীরা কুয়ো পরিষ্কার করার সময়েই বালি-পাথরের সঙ্গে ওই একটি মাথার খুলি ও চারটি হাড়ের টুকরো উদ্ধার হয়। কঙ্কালগুলি তাঁদের হাতে উঠে আসে। তাঁরা ঘাবড়ে গিয়ে প্রণববাবুকে সবই জানান। তিনিই পুলিশকে খবর দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে কোথা থেকে কী ভাবে ওই কঙ্কাল এল সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন প্রণববাবু। তিনি বলেন, “আমি জমি কেনার আগে থেকেই কুয়োটি ছিল। আগের মালিকও কুয়োটি ব্যবহার করতেন। তবে এই কঙ্কালের বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।”