কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন শিলিগুড়ির আইনজীবীরা। সোমবার শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অই ঘোষণা করা হয়েছে। টানা কর্মবিরতি যে হাইকোর্ট পছন্দ করছে না, তা দু’দিন আগে গত শনিবার শিলিগুড়িতে এসে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সহ অনান্য বিচারপতিরা। এ দিন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় টানা ৩৫ দিনের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন দুপুর ১টা থেকে ৪ ঘণ্টারও কিছু বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতি সহ হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল সহ বিভিন্ন মহলের আর্জি মেনেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমা আদালতের বর্তমান ভবন চত্বরেই স্থায়ী ভবন নির্মাণ এবং ভক্তিনগর থানা এলাকাকে শিলিগুড়ি আদালতের বিচারবিভাগীয় এলাকায় অর্ন্তভুক্তির দাবিতে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি চালাচ্ছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার প্রধান বিচারপতির সফরের আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আর্জি জানান। বর্তমান ভবন সম্প্রসারণের জন্য রাজ্যের আইন দফতর থেকে ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার কথাও জানান গৌতমবাবু। দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আহলুওয়ালিয়াও বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাঁদের দাবি নিয়ে সরব হওয়ার আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বলে সাংসদ জানান। সব আর্জি মেনেই এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছেন।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন দে বলেন, “প্রধান বিচারপতি সহ সকলের আর্জি মেনেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেশ কিছু আশ্বাসও মিলেছেন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সাংসদ সহ যাঁরা সাহায্য করেছেন সকলকে ধন্যবাদ।”এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “আদালতের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক এটাই চেয়েছিলাম। আমি যে আশ্বাস দিয়েছি, তা পূরণ করেছি।” সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, “আইনজীবীরা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন ধন্যবাদ। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার সদর্থক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি আইনজীবীদের দু’টি দাবিই দ্রুত পূরণ হবে।”