কমিশনের বিধিনিষেধে ভোট প্রচারে ব্যানার, ফ্লেক্স, দেওয়াল লিখন কম। তাই প্রচারে দৃশ্য দূষণ এড়ালেও ফ্লেক্স, ব্যানার, মাইক ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে। লোকসভা ভোটের সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকলেও, জলপাইগুড়ি শহরের সর্বত্র ফ্লেক্স, দেওয়াল লিখনে প্রচার কম।
শহরের এক শিল্পী ডাকু পালের কথায়, “গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫ হাজার প্রতীক এঁকেছিলাম। এ বারে এখনও বরাত পাইনি।” একটি প্রচার সংস্থার কর্ণধার শান্তনু দাস বলেন, “আগের দু’টি ভোটে যা কাজ করেছি, এ বছর তার এক তৃতীয়াংশ কাজের বরাতও পাইনি।” যাঁরা মাইক ভাড়া দেন তাদেরও একই অবস্থা। মাইক এবং সাউন্ডবক্স ভাড়া দেয় এমন দুটি সংস্থার কর্নধার অসিত কুমার নন্দী ও মোহন দে বলেন, “অন্যান্যবার এই সময় অন্তত ছয় সাতটি সভায় মাইক ও সাউন্ডবক্স ভাড়া দেওয়া হয়ে যায়। এখনও মাইক ভাড়া দেওয়া হয়নি।”
কেন এ রকম অবস্থা? রাজনৈতিক দলগুলি জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধির এ বার এতটাই কড়াকড়ি যে প্রচার নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “রাস্তার কোথাও কোনও ফেস্টুন বা ফ্লেক্স লাগানো যাচ্ছে না। কারণ রাস্তাটা সরকারি। সে কারণেই জায়গার অভাবে ফেস্টুন এবং ফ্লেক্স লাগানোর সংখ্যা কমে গিয়েছে।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তায় মিছিল করতে বাধা নেই। আর অনুমতি নিয়ে পথসভা করা যেতে পারে। সরকারি সম্পত্তি, বাতিস্তম্ভ, টেলিফোন স্তম্ভে মাইক লাগানো যাবে না। তাই মাইকের ব্যবহার কমেছে।”
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র মোহন বসু বলেন, “ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগালেই যে প্রচার বেশি হবে, এমন কোনও মানে নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে প্রচারের পরিকল্পনা পাল্টেছি। তাই ঘরে ঘরে প্রচার চালানো হচ্ছে।” সভার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ফর্মে মাইক ব্যবহারের জন্যে আবেদন করতে হবে। অনুমতি পেলে বিধি মেনে মাইক ব্যবহার করতে হবে। সরকারি সম্পত্তিতে মাইক, পোস্টার, ফ্লেক্স লাগানো, সরকারি রাস্তার পাশে কাঁচা অংশে খুঁটি পুঁতেও লাগানো যাবে না বলে জানা গিয়েছে।