খুনের তদন্ত চেয়ে স্মারকলিপি

বাম আমলে একাধিক খুনের ঘটনার তদন্ত ফের শুরু করার দাবিতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ শিলিগুড়ি মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। তৃণমূলের অভিযোগ, ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে শিলিগুড়িতে পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাগুলির সঙ্গে বাম তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অনেকে জড়িত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৩
Share:

বাম আমলে একাধিক খুনের ঘটনার তদন্ত ফের শুরু করার দাবিতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ শিলিগুড়ি মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। তৃণমূলের অভিযোগ, ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে শিলিগুড়িতে পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাগুলির সঙ্গে বাম তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অনেকে জড়িত। সে জন্যই ওই খুনের ঘটনাগুলি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সব খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে কোথাও ফাঁক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। এর পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ পাল বলেন, “ঘটনাগুলি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু ফাইল পরিকল্পিত ভাবে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। সিপিএম নেতাদের আড়াল করতেই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা পুনরায় তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব অবশ্য ওই ঘটনার পেছনে রাজনীতি ছাড়া কিছু দেখছেন না। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সররকারের অভিযোগ, “তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। বিরোধী কর্মীরা খুন হচ্ছেন। মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন। তা থেকে মুখ ঘোরাতেই এমন সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সাড়ে তিন বছর সরকার চালানোর পর বাম আমলে খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে আন্দোলন করা রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়।”

তৃণমূল এ দিন অভিযোগ করে, ১৯৯৪ সালে ১৬ মে শিলিগুড়ি পুরসভার ভোটের আগের দিন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী উদয় চক্রবর্তীকে খুন করে সিপিএমের কর্মীরা। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ। ২০০৫ সালের ২৫ মে শিলিগুড়ি হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্র সোনু পটেলকে এসএফআই কর্মীরা খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বাম আমলে একটি সংবাদপত্রের কর্মী দিবাকর মন্ডল, তৃণমূল কর্মী টোকেন সাহা, তিলক বাহাদুর ছেত্রীকে খুনের ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন