গৌতম দেবের বিরুদ্ধে নালিশে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

তৃণমূলের কর্মিসভায় মাসিক পত্রিকা বিলি করায় ওই পত্রিকার সম্পাদককে কিল-চড় মারা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। ওই সম্পাদক প্রাণগোবিন্দ মিত্র শনিবার রাতে গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও রবিবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কার্যত কোনও খোঁজখবর তাঁরা করেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৪ ০৩:০৯
Share:

তৃণমূলের কর্মিসভায় মাসিক পত্রিকা বিলি করায় ওই পত্রিকার সম্পাদককে কিল-চড় মারা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। ওই সম্পাদক প্রাণগোবিন্দ মিত্র শনিবার রাতে গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও রবিবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কার্যত কোনও খোঁজখবর তাঁরা করেননি বলে অভিযোগ। তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে গৌতমবাবুর বক্তব্য, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি।”

Advertisement

প্রাণগোবিন্দবাবুর ক্ষোভ, “পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ কোনও কিছুই করেনি বুঝতে পারছি।” ওই অভিযোগ নিয়ে কোনও মামলাও রুজু করেনি পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “থানায় বলা হয়েছে। তদন্ত করে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।” তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে পুলিশ কোনও সদুত্তর দেয়নি। পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের মারধরের অভিযোগ জামিনযোগ্য। ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যাপার নেই। তবে অভিযোগকারী মনে করলে নিজেই চিকিৎসককে দেখিয়ে তার নথি পুলিশে দিতে পারেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩২৩ ধারায় পুলিশের মামলা করার কথা। তবে এখনও হয়নি। এ দিন এর প্রতিবাদে মিছিল করে শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের সদস্যেরা।

শনিবার শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের কর্মিসভা হয়। সভা শুরুর মুখে সেখানে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিজের মাসিক পত্রিকা বিলি করছিলেন প্রাণগোবিন্দবাবু। সে সময় গৌতমবাবু গিয়ে প্রাণগোবিন্দবাবু ‘বিজেপি-র লোক’ বলে তাঁর কলার ধরে চড়, কিল মারেন বলে অভিযোগ। সে সময় পিছন থেকে তাঁকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণগোবিন্দবাবু পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকও। তিনি জানান, ঘটনা প্রকাশিত হতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচিতদের অনেকেই। তাঁরা মন্ত্রীর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। দলের নেতৃত্বের একাংশও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি। যদিও প্রকাশ্যে গৌতমবাবু তথা দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননি কেউই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন