গৌতমের পরে পূর্ণেন্দু, হিসাবের চাপ মোর্চাকে

জিটিএ’কে এ যাবৎ বরাদ্দ টাকার হিসেব দিতে হবে বলে ভোটের মুখে মোর্চার উপর চাপ বাড়াতে চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশনগরে নির্বাচনী জনসভায় ওই কথা জানান পূর্ণেন্দুবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫০
Share:

জিটিএ’কে এ যাবৎ বরাদ্দ টাকার হিসেব দিতে হবে বলে ভোটের মুখে মোর্চার উপর চাপ বাড়াতে চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশনগরে নির্বাচনী জনসভায় ওই কথা জানান পূর্ণেন্দুবাবু। নির্বাচনের মুখে ‘চাপ বাড়াতে’ অন্যায় ভাবে তিনি এ ধরনের কথা বলছেন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। সিপিএমের তরফে এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শ্রমমন্ত্রী ওই সভায় এ দিন জানান, দার্জিলিঙের শান্তি বিজেপি’র পছন্দ হয়নি। তাই তাঁরা পাহাড়ে আলাদা রাজ্য হতে পারে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা বলছি পাহাড়কে আলাদা করা যাবে না। পাহাড়ের উন্নতি চাই। পাহাড় নিয়ে সুবিধাবাদী রাজনীতি হচ্ছে। আড়াই বছরে পাহাড়ের উন্নয়নে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে।” মোর্চা নেতৃত্ব তা জেনে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। তাদের উপর চাপ বাড়াতে এ ধরনের বক্তব্য বলে মনে করছে মোর্চার একাংশ। বিজেপি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসুর অভিযোগ, কাউকে চাপে ফেলা তৃণমূলের স্বভাবগত। নির্বাচনী বিধিনিষেধ লাগু হওয়ার পর পূর্ণেন্দুবাবু প্রকাশ্যে এ ভাবে চাপ দিতে পারেন না। রথীন্দ্রবাবু বলেন, “আমরা বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।” বামেরাও এ দিন পূর্ণেন্দুবাবুর বক্তব্যের সমালোচনা করেন। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যর দাবি, নির্বাচনের পর পূর্ণেন্দুবাবুরা হিসাব চাইতেই পারেন। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে এ ভাবে প্রকাশ্যে সভায় হিসাব চাওয়া ঠিক নয়। প্রকাশনগরের ওই এলাকা জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানে দলের প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মনের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে পূর্ণেন্দুবাবুর কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেন। সমালোচনা করেন বামেদের। রাজ্যে তাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। শেষ পর্বে বিজেপির প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন তুলে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেন। সেই প্রসঙ্গেই জানান, রাজ্যে তাদের সরকার দার্জিলিঙে শান্তি ফিরিয়েছে। অথচ অনেকেরই তা পছন্দ হচ্ছে না। এর পরেই তিনি ওই ‘হিসাব দেওয়ার’ কথা বলেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ দেশ জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এ রাজ্যেও সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি জোট বেঁধে তৃণমূলকে হারাতে চাইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন