চাঁচলে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হুমকি, মামলা করতে টালবাহানা পুলিশের

মালদহের চাঁচলের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে একাধিকবার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করার ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ থাকায় পুলিশ মামলা রুজু করতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৬
Share:

মালদহের চাঁচলের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে একাধিকবার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করার ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ থাকায় পুলিশ মামলা রুজু করতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তি এড়াতে প্রকাশ্যে তদন্তের দাবি তুলেছে ব্লক তৃণমূল নেতারাও। এ দিকে, পুলিশের এমন ভূমিকায় হতাশ ব্যাঙ্কের একাংশ অফিসার-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে ঢুকে দলবল নিয়ে খুনের হুমকির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা না নেওয়ায় এই প্রবণতা বেড়েই চলবে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ম্যানেজারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

Advertisement

চাঁচলের কলেজ রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা অফিস রয়েছে। সেই ব্যাঙ্কে ঋণ চেয়ে আবেদন করেছিলেন চাঁচলের বাসিন্দা তথা সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সামিউল ইসলাম। ব্যাঙ্ক তাঁর আবেদন নাকচ করে দেওয়ায় সম্প্রতি দলবল নিয়ে অফিসে ঢুকে ম্যানেজারকে খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকেও ব্যাঙ্কে যেতে হয়েছিল। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তথা বিহারের পাটনার বাসিন্দা আশিস কুমারকে একাধিক বার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সামিউলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার চাঁচল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। পুলিশ অভিযোগ নিলেও শুধুমাত্র জিডি নম্বর দিয়েই ছেড়ে দেয়। তিনদিন কেটে গেলেও এখনও মামলায় রুজু হয়নি। যার জেরে অভিযুক্ত নেতা অনায়াসেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আশিসবাবু বলেন, “একাধিকবার হুমকি দেওয়ায় আমাকে বাধ্য হয়েই থানাতে অভিযোগ করতে হয়েছে। পুলিশের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা। এখন দেখার পুলিশ কী ভুমিকা পালন করে।”

অভিযুক্ত নেতা সামিউল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে বদনাম করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমি সেদিন তাঁকে কোন হুমকি দিইনি। উল্টে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।” এদিকে, দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সামিউলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে দলেরই নেতারা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, “দলের দায়িত্বে থেকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সত্য সামনে আনুক।” এলাকার কংগ্রেসের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “শাসক দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পুলিশ বিষয়টি লঘু করে দেখার চেষ্টা করে। অন্যক্ষেত্রে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন