শিলিগুড়ির সেবক রোডের হোটেল চত্বরে থাকা মোটর যন্ত্রাংশের গুদামঘরে হামলা ও চুরির অভিযোগে ধৃত ওই হোটেলের ম্যানেজার ও দুই পিকআপ ভ্যানচালকের জামিন নামঞ্জুর হয়ে গেল।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে নীলাঞ্জন মৌলিকের এজলাসে তাঁদের পেশ করা হলে তিনি এই নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া বলেন, “মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। ধৃতদের জামিন দিলে তারা বাইরে বেরিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিচারকের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। বিচারক তা মেনে নিয়েছেন।” ধৃতদের ফের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে বলে।
হামলার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত কাজল সরকারের আইনজীবী অত্রি শর্মা পুলিশের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “ওই সম্পত্তিটি দখল করার জন্য এক শ্রেণির মাফিয়া দীর্ঘদিন থেকেই তৎপর। এ কাজে পুলিশের একাংশ ওই মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেন, “বারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে আবগারি দফতর দেখবে।” যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন। তিনি বলেন, “পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করছে।”
শিলিগুড়ির সেবক মোড় লাগোয়া ওই হোটেল চত্বরে থাকা ভাড়াটের গুদামে হামলা চালিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ হয় হোটেল মালিক কাজল সরকারের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই গুদাম মালিকের লোকজন হইচই শুরু করেন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, ওই সময়ে ভাড়াটে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কাজল সরকার একাধিক নেতা-কর্তার নাম করে হুমকি দেন। সেবক রোডের ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, উচ্ছেদে অভিযুক্তদের কয়েকজন তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করেন। কাজলবাবুর তরফেও পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগ করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ দু’পক্ষের ৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।