ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মৃত ছাত্রের বাবা অশোক কুমার চক্রবর্তী তাঁর ছেলেকে ‘পরিকল্পিতভাবে খুনের’ অভিযোগ দায়ের করেন বান্টি, সনো এবং ভুট্টু নামে তিনজনের বিরুদ্ধে। এর পরে পুলিশ ৩০২/২৪ ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, জলপাইগুড়ি শহরের পূর্ব অরবিন্দনগরের বাসিন্দা তন্ময় চক্রবর্তীকে সোমবার রাতে মারাত্মক জখম অবস্থায় গোশালা মোড় সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া যায়। কয়েকজন বন্ধু তন্ময়কে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ পরিবারের তরফে পুলিশকে মৌখিকভাবে পাঁচ যুবককে দায়ী করে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাতে মৃত ছাত্রের বাবা লিখিতভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ জানান। বুধবার সকালে আটক চারজনকে আদালতে পাঠিয়ে বয়ান নথিভুক্ত করে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। যে চারজনকে আটক করা হয়েছিল তাঁদের বক্তব্য আদালতে রেকর্ড করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, যে তিনজনের নামে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে আটক একজনেরও নাম নেই। মৃত ছাত্রের বাবা অশোকবাবু পুলিশকে লিখিতভাবে জানান, বান্টি, সনো এবং ভুট্টু নামে তিন যুবক গত পয়লা মার্চ তন্ময়ের উপরে হামলা করে। তাঁকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয়। তিনি জানান, তাঁর ‘দৃঢ় বিশ্বাস’ ওই তিনজন সোমবার রাতে ছেলেকে মেরে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
মৃত ছাত্রের মামা আইনজীবী তপন ভট্টাচার্য বলেন, “বিভিন্ন সুত্র থেকে যতটা জেনেছি পুলিশকে তা জানানো হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।” পুলিশের বক্তব্য, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে মৃত্যুর রহস্য অনেকটাই স্পষ্ট হবে। তন্ময়ের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।