ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু,সংগ্রহ করা হল দেহরস

সোমবার দুপুরে বাসে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা অধিকারী। বাস থামিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই মৃতু হয় তার। ময়নাতদন্তের পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীর দেহটি ময়নাগুড়ির সাপটিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বারোঘরিয়া গ্রামের কুলেরভিটা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩১
Share:

সোমবার দুপুরে বাসে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা অধিকারী। বাস থামিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই মৃতু হয় তার। ময়নাতদন্তের পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীর দেহটি ময়নাগুড়ির সাপটিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বারোঘরিয়া গ্রামের কুলেরভিটা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে মারা যায় সে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হতে দেহরসের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার পার্থ দে বলেন, “পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দেহ রসের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।”

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে মৃতার কাকা দিলীপ অধিকারী জানিয়েছেন, আজ, বুধবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। তবে সোমবার রাতেঅ সন্দেহের কথা পুলিশকে জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় জানান, এখনও লিখিত অভিযোগ মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ছাত্রী কোথায় পড়তে যায়, কোথায় বাসে ওঠে, তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কি না সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে প্রিয়ঙ্কা জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা থেকে বাসে ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে আনন্দচন্দ্র কলেজের ওই পড়ুয়ার শান্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরার কথা। কেন তিনি কদমতলায় গেলেন? তাঁর কাকা দিলীপবাবু জানান, দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে প্রিয়ঙ্কা ফোন করে। তার ১০ মিনিটের মধ্যে ভাইঝির ফোন থেকে বাস কন্ডাক্টর ফোন করেন জানান, সে অসুস্থ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement