জাতীয় সড়কে বাধা ব্যারিকেড, ক্ষুব্ধ চালকেরা

জাতীয় সড়কে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বসানো ব্যারিকেড বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী ও চালকেরা। ৩১ডি জাতীয় সড়কের উপর জলপাইগুড়ির কাছে রানিনগরে এবং শিলিগুড়ির কাছে রাধাবাড়িতে বিএসএফের দু’টি ছাউনির সামনে তিনটি জায়গায় দুটি করে মোট ছ’টি ব্যারিকেড করা হয়েছে। ব্যারিকেড থাকার ফলে যানের গতি মন্থর হচ্ছে। যানজট হচ্ছে।

Advertisement

রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৯
Share:

জাতীয় সড়কে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বসানো ব্যারিকেড বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী ও চালকেরা। ৩১ডি জাতীয় সড়কের উপর জলপাইগুড়ির কাছে রানিনগরে এবং শিলিগুড়ির কাছে রাধাবাড়িতে বিএসএফের দু’টি ছাউনির সামনে তিনটি জায়গায় দুটি করে মোট ছ’টি ব্যারিকেড করা হয়েছে। ব্যারিকেড থাকার ফলে যানের গতি মন্থর হচ্ছে। যানজট হচ্ছে।

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ৩১ডি জাতীয় সড়কের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী বাস্তুকার নির্মল মন্ডল বলেন, “কোনও জাতীয় সড়কের ওপর গতি নিয়ন্ত্রনের জন্য কোনও প্রতিবন্ধকতা কেউ সৃষ্টি করতে পারেন না।” তা হলে কোন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন? তিনি বলেন, “কিছু দিন আগে রাস্তা সংস্কার করার সময় সমস্ত ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়েছিল। কখন, কোথায়, কে ব্যারিকেড বসাচ্ছে, তা সব সময় লক্ষ রাখা সম্ভব না।”

বিএসএফের এই দুটি জায়গায় ব্যারিকেড বসানোর কারণ কি? বিএসএফ সূত্রের খবর, রানিনগরে বিএসএফের তিন জন জওয়ান এবং রাধাবাড়িতে দু’জন জওয়ান গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন। তার পর থেকেই বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ব্যারিকেড বসানো হয়। বিএসএফের রাধাবাড়ি রেঞ্জের ডিআইজি অখিল দীক্ষিত এবং রানিনগরের ডিআইজি যোগেন্দ্র সিংহ বলেন, “বাসচালকেরা যে গতিতে গাড়ি চালান তাতে দুর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। গাড়ির গতি কম করার জন্য এই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। আমরা চাই না কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটুক। আগে কোন অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা বলতে পারব না।”

Advertisement

বাসের গতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে, এ কথা মানতে নারাজ বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যরা। নর্থ বেঙ্গল মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাসব কর বলেন, “ডুয়ার্স এবং শিলিগুড়ির মধ্যে যে সমস্ত বাস চলাচল করে, তারা বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে আসলে এমনিতেই গতি কমিয়ে নেন। কারণ ওই জায়গায় যাত্রীরা ওঠানামা করেন।” জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি সুপার বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিবু দে বলেন, “বিএসএফের বক্তব্য মানতে পারছি না। এটা অজুহাত মাত্র।” জেলা ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জীব ঘোষ বলেন, “রাস্তাটা সীমান্ত সড়ক নয়। তবুও সত্ত্বেও বিএসএফ যা খুশি তাই করছে। ব্যারিকেড থাকার ফলে আমাদের প্রতিটি ট্রিপে সময় বেশি লাগছে।” তিনি জানান, তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়ার জন্যে আবেদন করে চিঠি পাঠানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন