জামিনে পেয়ে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণে অভিযুক্ত

ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবক জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে অভিযোগকারিণীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফের পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে দাবি অভিযোগকারিনীর। দ্রুত ধর্ষণের মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল এসইউসি প্রভাবিত সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২৩
Share:

ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবক জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে অভিযোগকারিণীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফের পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে দাবি অভিযোগকারিনীর। দ্রুত ধর্ষণের মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল এসইউসি প্রভাবিত সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন। সোমবার সংগঠনের শতাধিক মহিলা সদস্যা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে প্রায় একঘন্টা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও তাঁদের প্রতিবেশীদের একাংশও। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেভিড ইভান লেপচা বলেন, “ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন তিন মাসের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে পারল না, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চৈতন্য বর্মন নামে অভিযুক্ত ওই যুবক এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এলাকার পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।”

হেমতাবাদের যাতাপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক দেড় বছর ধরে বছর ষোলোর ওই দশম শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ছাত্রী। তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চৈতন্যকে ধরে। অগস্টের মাঝামাঝি তার জামিন মঞ্জুর হয়।

Advertisement

ছাত্রীর বাবার বক্তব্য, “পুলিশে অভিযোগ করায় জুন থেকেই চৈতন্যের পরিবারের লোকজন আমাদের খুন ও এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে চৈতন্য এলাকায় ফিরে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে খুনের হুমকি দেয়। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারছি না। আদালতেও যেতে পারছি না। পুলিশের কাছে আমাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।’’ এসইউসি-র জেলা নেত্রী মাধবীলতা পালের দাবি, চৈতন্যের পরিবারের লোকজনকে একাধিকবার ওই কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও লাভ হয়নি। অভিযুক্তের আইনজীবী দয়াময় রায়ের দাবি, “চৈতন্যকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় পুলিশ তিন মাসের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন