জনসভার মাঝে ফাঁকা মাঠ, অস্বস্তি বামেদের

নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর মাঠের একাংশ ফাঁকা থাকতেই সভা শুরু করলেন বাম নেতারা। সভায় একে একে বক্তব্য রাখলেন শরিক দল সহ সিপিএমের নেতারা। বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী তথা সিপিএমের মহম্মদ সেলিমও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০২:১৫
Share:

নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর মাঠের একাংশ ফাঁকা থাকতেই সভা শুরু করলেন বাম নেতারা। সভায় একে একে বক্তব্য রাখলেন শরিক দল সহ সিপিএমের নেতারা। বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী তথা সিপিএমের মহম্মদ সেলিমও। তার পরে বক্তব্য রাখার কথা সভার প্রধান বক্তা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের। কিন্তু দেখা দিল ছন্দপতন। নিজের বক্তব্য শেষ করে সেলিমবাবু প্রধান বক্তা হিসেবে সূর্যকান্তবাবুর নাম ঘোষণা করতেই সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা মাঠ ছেড়ে বার হতে শুরু করেন।

Advertisement

ঘটনায় হকচকিয়ে পড়েন একাধিক বাম নেতারা। মঞ্চের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে কর্মী সমর্থকদের বসানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। বেগতিক বুঝে সেলিমবাবু ফের মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কর্মী সমর্থকদের মাঠে থেকে সূর্যকান্তবাবুর কথা শোনার অনুরোধ করতে থাকেন। সেলিমবাবু বলেন, “আমি আপনাদের প্রার্থী। অনুরোধ করছি সূর্যকান্তবাবুর বক্তব্য না শুনে কেউ যাবেন না।”

সূর্যকান্তবাবুর টানা ২৫ মিনিটের বক্তব্য চলাকালীন সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের অনেককেই মাঠ ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। তাঁর বক্তব্য যখন শেষ হয় তখন মাঠ প্রায় ফাঁকা। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী সেলিম বাবুর সমর্থনে বামফ্রন্টের ডাকা প্রথম নির্বাচনী জনসভায় রবিবার এ ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বাম নেতারা।

Advertisement

এদিন দুপুর একটা’র সভা শুরু হয় দুপুর আড়াইটা নাগাদ। পুলিশ সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে ৯ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারেন। সেখানে এ দিনের সভায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত হয়। কেনও মাঠ ভরল না? এর জবাবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ি বলেছেন, “রায়গঞ্জ জোনাল কমিটির অন্তর্গত শহর লাগোয়া কয়েকটি এলাকার বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদেরই সভায় যোগ দিতে বলা হয়েছিল। জেলাগত ভাবে সভার আয়োজন করা হয়নি। সেই জন্যই মাঠ ভরেনি।” সূর্যকান্তবাবু এ দিন বলেন, “নীতিহীন কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির দুর্নীতি ও ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করছে। গরিবের স্বার্থে আপনারা সেলিমকে জেতান।’’ মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, “কংগ্রেস এইমসের ধাঁচে হাসপাতালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত নির্বাচনে রায়গঞ্জে জয়ী হয়েছে। জেলায় কর্ম সংস্থান নেই। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মদতে রায়গঞ্জে খুন, তোলাবাজি বাড়ছে।” এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ পৃথকভাবে বলেন, “সভার জমায়েতে স্পষ্ট বামফ্রন্ট জনসমর্থন হারিয়েছে। ওঁদের কথার গুরুত্ব দিচ্ছি না।” আর বিজেপির জেলা সভাপতি শুভ্র রায়চৌধুরীর কটাক্ষ, “বামফ্রন্ট মিথ্যাচারের রাজনীতি শুরু করেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement