ব্যাটারিচালিত রিকশা বা টোটোর জেরে বালুরঘাটে নিত্য যানজট শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। শহরের বিশ্বাসপাড়া মোড় থেকে সাড়ে তিন নম্বর মোড় হয়ে ডানলপ মোড় ও নিউমার্কেট এলাকায় সকাল-বিকেল দুর্ভোগে পড়ছেন শহরবাসীরা। দুই মাস আগে শহরের বড় রাস্তায় টোটো চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। পুলিশের তরফে ধড়পাকড় শুরু হয়েছিল। টোটো চালকদের পক্ষ নিয়ে জেলা কংগ্রেস পুরসভা কর্তৃপক্ষকে তালিকা নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এরপরেই গত মাসে পুরসভা থেকে শহরে মাইক প্রচার করে টোটো চালকদের পুরসভায় তালিকা নথিভুক্ত করার নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরে টোটো নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুরসভা থেকে পদক্ষেপের অভাবে দিনদিন টোটোর সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ। সিটুর রিকশা ও ভ্যান রিকশা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে টোটো বন্ধের দাবিতে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সিটুর অভিযোগ, বর্তমানে টোটোর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনই পুরসভা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পুজোর মুখে ওই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে।
বালুরঘাটের মহকুমা শাসক সন্দীপ দত্তের বক্তব্য, “প্রশাসনের তরফে প্রথমদিকে টোটো নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন বিষয়টি পুরসভা দেখছে।” তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, “শহরে এখনও পর্যন্ত ২৪৬টি টোটোর তালিকা পুরসভায় নথিভুক্ত হয়েছে। শীঘ্রই মিটিং করে চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
হাতির তাণ্ডবে ভাঙল ঘর। দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে ভাঙল একটি মুদির দোকান ও দু’টি ঘর। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নিমতি চৌপথি ও ভাঙাপুল এলাকায়। বন দফতরের অফিসার ভবেন ঋষি জানান, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ একটি দাঁতাল মুদির দোকান ভাঙে। পরে হাতিটি ভাঙাপুল এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পরে বনকর্মীরা হাতিটিকে ধাওয়া করে নিমতির জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয়।