টয় ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে সাসপেন্ড ৩

কার্শিয়াঙের চুনাভাটিতে টয় ট্রেন দুর্ঘটনায় এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বুধবার রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৭
Share:

কার্শিয়াঙের চুনাভাটিতে টয় ট্রেন দুর্ঘটনায় এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বুধবার রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

তবে নিচু তলার ওই কর্মীদের সাসপেন্ড করা হলেও টয় ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার এবং ট্রেন চলাচলের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের কেন ছাড় দেওয়া হল, রেলের কর্মী আধিকারিকদের মধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে নিউ জলপাইগুড়িতে সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবারের লোকজন। পরে রেলের ওই আধিকারিকের হাতে স্মারকলিপিও তুলে দেন তাঁরা।

তদন্তে জানা গিয়েছে, টয় ট্রেনের ইঞ্জিনে যথেষ্ট ত্রুটি ছিল। কাজ করছিল না ব্রেক। পাহাড়ের ঢালে ট্রেনটিকে তাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক। প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন ট্রেনটিকে থামাতে এই সময়ে ছুটে এসেছিলেন এক যাত্রী। ইমার্জেন্সি (হ্যান্ড ব্রেক) ব্রেক চেপে ধরে তিনিই সে যাত্রায় রক্ষা করেছিলেন বলে তদন্তে রেল কর্তারা জানতে পেরেছেন। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর শিরোপা পাওয়া, দেশের এক মাত্র টয় ট্রেনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই রেল কর্তাদের একাংশের দাবি, ট্রেনটিকে ভাল করে পরীক্ষা না করেই কেন চলাচলের জন্য ‘ফিট’ সার্টিফিকেট দেওয়া হল? রেলের ওই কর্তাদের দাবি, এই দুর্ঘটনার দায়, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকদেরই নিতে হবে।

Advertisement

দুর্ঘটনার পরে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফে তদন্তের নির্দেশ না-দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রেল কর্তাদের একাংশের দাবি, দায় এড়াতেই সেফটি কমিশনারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেননি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা। অথচ রেলের নিয়মানুযায়ী, ট্রেন-দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীরও মৃত্যু হলে সেই দুর্ঘটনার তদন্ত সেফটি কমিশনারের দফতর থেকেই করানোর কথা। এ ক্ষেত্রে এক জন সিনিয়র ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র, ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর এবং নিউ জলপাইগুড়ির সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজারকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেই দায় সেরেছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই চালক-সহ তিন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তবে সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে রাখছেন, ট্রেন থেকে কেউ ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রীতি নেই। মৃতার পরিবারকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন