ব্রোঞ্জের তৈরি বুদ্ধ মূর্তি উপহার দিয়ে দার্জিলিঙের সঙ্গে তাইল্যান্ডের সমন্বয় গড়তে উদ্যোগী হয়েছে সে দেশের একটি বেসরকারি সংগঠন।
আগামী রবিবার তাইল্যান্ড থেকে ৩৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল দার্জিলিঙে আসবে। তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার দার্জিলিঙে এসেছিলেন তাইল্যান্ডের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিঙলা। জিটিএ- চিফ বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে এ দিন গোর্খা রঙ্গ মঞ্চে বৈঠক করেছেন তিনি। তাইল্যান্ড থেকে আসা প্রতিনিধি দলটি দার্জিলিঙের একটি গুম্ফাকে বৌদ্ধ মূর্তি উপহার দেবে বলে জানিয়েছে। এ দিন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে স্থির হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি জিটিএ-কর্তৃপক্ষের হাতে মূতিটি তুলে দেবে। তাই-প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই গুম্ফার সন্ন্যাসীদের হাতে মূতি তুলে দেবে জিটিএ।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন এ দিন জানিয়েছেন, নালিমা তাভাসিনের নেতৃত্বে তাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল দার্জিলিঙে পৌঁছবেন। নালিমা একসময়ে দার্জিলিঙেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। হর্ষবর্ধন বলেন, “তাইল্যান্ডের অনেক বাসিন্দাদের সঙ্গেই দার্জিলিঙের যোগাযোগ রয়েছে। একসময়ে দার্জিলিঙের স্কুল, কলেজে পড়াশোনা করেছেন এমন অনেকেই এখন তাইল্যান্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তেমনিই কিছু বাসিন্দা একটি গোষ্ঠী তৈরি করে দার্জিলিঙের সঙ্গে ফের যোগাযোগ স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছেন।”
ইতিমধ্যেই বৌদ্ধমূর্তিটি দার্জিলিঙে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় ৩০০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের মূর্তিটি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তৈরি হয়েছে বলে এ দিন জিটিএকে জানানো হয়েছে। জিটিএ-এর তরফে অবশ্য এ দিন সরকারি বাবে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। গুম্ফা কর্তৃপক্ষের তরফে বাহাদুর ঘিসিঙ্গ তাই-প্রতিনিধিদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে পর্যটন নিয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।