তৃণমূল উপপ্রধানের স্বামীকে কোপ, অভিযুক্ত বিজেপি

বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের উপপ্রধানের স্বামীর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৫
Share:

বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের উপপ্রধানের স্বামীর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, জখম তৃণমূল নেতার নাম দিলীপ দাস। তাঁর স্ত্রী মণিকা দাস জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। জখম দিলীপবাবুকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এক বিজেপি নেতা-সহ ৬ জনের নামে মাথাভাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের ওই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দিলীপবাবু জখম হয়েছেন। মাথাভাঙার এসডিপিও গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

শিবপুরে দিলীপবাবুর কাপড়ের দোকান রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা সন্ধ্যের পরে ওই বাজারে মদ বিক্রি করেন বলে অভিযোগ তুলে তিনি সরব হয়েছিলেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে কয়েকটি মদের ঠেক ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। তা নিয়েই এলাকার বিজেপি সমর্থকরা দিলীপবাবুর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাতে বাজারে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বাইক আটকে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায়, কপালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে।

উপপ্রধান অভিযোগ করে বলেন, “ছক কষে আগের থেকে অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা দাঁড়িয়েছিল। অভিযুক্তরা একা পেয়ে তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ে।” তৃণমূলের শ্রমিক নেতা আলিজার রহমানের অভিযোগ, “বিজেপি এলাকায় কোনও ভাবেই সংগঠন করতে পারছিল না, তাই কিছু সমাজবিরোধী ছেলেকে নিয়ে সংগঠন তৈরির চেষ্টা করছে।”

Advertisement

যদিও, বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিল রঞ্জন দে পাল্টা অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিন ধরে মাথাভাঙায় রয়েছে। জোরপাটকিতে এক গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার জন্য আরেক গোষ্ঠীর তৃণমূল সমর্থকরা হামলা করেছে। রাজনৈতিক কারণে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই আসল ঘটনা জানা যাবে।”

পুলিশকর্মীদের ঘেরাও রায়গঞ্জে। বাড়িতে চড়াও হয়ে বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানোর দাবিতে পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ থানার মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাসিন্দাদের একাংশ দীর্ঘক্ষণ পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে মাড়াইকুড়া এলাকার রাস্তার ধারে একটি মালিকানাহীন ছোটগাড়ি পড়ে ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় সেটি কয়েকজন যুবক মিলে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়িটি ধরিয়ে দেওয়ায় ভোররাতে দুষ্কৃতীরা বাসিন্দাদের একাংশের বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন