তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ তরুণীর

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের টোপ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। সম্প্রতি ওই তরুণী তাঁর ‘ফেসবুক’ অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট-এর মাধ্যমে ওই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সেই পোস্টের বার্তা অনুযায়ী, টিএমসিপির দার্জিলিং জেলার প্রথম সারির নেতা তথা উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবকটির সঙ্গে তরুণীর দীর্ঘদিনের পরিচয়।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৯
Share:

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের টোপ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। সম্প্রতি ওই তরুণী তাঁর ‘ফেসবুক’ অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট-এর মাধ্যমে ওই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সেই পোস্টের বার্তা অনুযায়ী, টিএমসিপির দার্জিলিং জেলার প্রথম সারির নেতা তথা উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবকটির সঙ্গে তরুণীর দীর্ঘদিনের পরিচয়। সদ্য কলেজ উত্তীর্ণ তরুণীর অভিযোগ, দিনের পর দিন ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশলেও ওই ছাত্র নেতা সম্প্রতি অন্য এক ছাত্রীর দিকে ঝুঁকেছেন। এমনকী, বামপন্থী সংগঠন থেকে টিএমসিপিতে নবাগত ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তুতিও ওই নেতা নিচ্ছেন বলে তরুণী জানতে পেরেছেন। ‘ফেসবুক’-এর মাধ্যমে ওই তরুণী ছাত্রনেতাকে ‘কাপুরুষ’ ও ‘প্রতারক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তরুণীর আরও অভিযোগ, তিনি মাথায় চোটের কারণে অসুস্থ হওয়ায় বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়। এর পরেই ‘অসুস্থ’ কাউকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে ওই ছাত্র নেতার পরিবার জানিয়ে দিয়েছে। যদিও ছাত্র নেতার তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণীর অভিযোগ ঠিক নয়।

Advertisement

এই ঘটনার খবর পৌঁছেছে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও। বিষয়টি ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, “ফেসবুক-এর মতো সোশ্যাল সাইটে কোনও পোস্ট হলে তা নিয়ে হইচই হতে পারে। আমি ঠিক কী হয়েছে তা বিশদে খোঁজ নেব। বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করব।”

তৃণমূলের অন্দরের খবর, যে তরুণী ফেসবুক-এ অভিযোগ করেছেন, তিনি দলের অনেকেরই পরিচিত। ঘটনাচক্রে, তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও তৃণমূলের নেতাদের অনেকেরই সুসম্পর্ক রয়েছে। সে কথা মানছেন তৃণমূল নেতা মিলন দত্ত, জ্যোত্‌স্না অগ্রবাল সহ অনেকেই। ওই তরুণী ও চাত্র নেতা উভয়কেই তাঁরা চেনেন। ফেসবুক-এর পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা এড়িয়ে গিয়েছেন। ফেসবুক-এর পোস্ট-এ মিলনবাবু প্রতিক্রিয়া দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মিলনবাবু বলেন, “এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” জ্যোত্‌স্না দেবীও বিষয়টি নিয়ে বিশদে কোনও কিছু বলতে রাজি নন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমি দুজনকে চিনলেও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।” টিএমসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে পর্যন্ত ওই ছাত্র নেতার সঙ্গে তরুণীটির সুসম্পর্ক ছিল। কিছু দিন আগে ছাত্রীটি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যাতে পড়াশোনা করেন, সে জন্য ছাত্র নেতাই উদ্যোগী হন বলে টিএমসিপির কয়েকজনের দাবি। কিন্তু, কী কারণে ছাত্র নেতার সঙ্গে ও তরুণীর বিচ্ছেদ হয়েছে তা কারও কাছে স্পষ্ট নয়। তবে ছাত্র নেতার পারিবারিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও দুজনের বিয়ের কথার্বাতা কখনও চূড়ান্ত হয়নি। সে জন্য প্রতারণার অভিযোগ তোলাটা ঠিক নয় বলে ছাত্র নেতার ঘনিষ্ঠদের কয়েকজন দাবি করেছেন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন