এসজেডিএ কাণ্ড

তিন বাস্তুকারের নামে সিআইডি তদন্তে সায়

শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) বহু কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে সম্মতি দিল এসজেডিএ। মালবাজার শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো এবং মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনটি মামলায় দফতরের তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে সম্মতি দিয়েছেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০২:৩৪
Share:

এসজেডিএ-র বোর্ড মিটিং চলছে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) বহু কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে সম্মতি দিল এসজেডিএ।

Advertisement

মালবাজার শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো এবং মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনটি মামলায় দফতরের তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে সম্মতি দিয়েছেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এসজেডিএ-র বোর্ড মিটিঙে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। দফতরের বাস্তুকার বা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের জন্য দফতরের সম্মতি চাওয়া হয়। তা দিতে হলে বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমেই তা করা প্রয়োজন। সে কারণেই গত সপ্তাহে সিআইডি’র চিঠি পাওয়ার পর এ দিন বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। যে মামলাগুলির বিষয়ে তদন্তের অনুমতি চেয়েছে সিআইডি তার মধ্যে রয়েছে বাগডোগরা, মালবাজারে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো এবং মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজের দুর্নীতির অভিযোগ। দফতরের তিন বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল এবং প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলিতে সিআইডিকে তদন্তের সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ দিন।

এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে। এসজেডিএ-র তরফেই অভিযোগ করা হয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা তা নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে। যতদূর জানি, সিআইডিও তদন্তের কাজে অনেকটাই এগিয়েছে।” ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো এবং নিকাশি তৈরির কাজে দুর্নীতির অন্য দু’টি মামলায় সিআইডিকে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে এসজেডিএ।

Advertisement

বাগডোগরা, মালবাজার,ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজে অন্তত ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত বছর ১৬ মে এসজেডিএর তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে নিম্নমানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো, ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জাল নথি তৈরি করে বরাত পাইয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ নিয়ে মামলা করা হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে ৮টি মামলা এসজেডিএর তরফে করা হয়। বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল এবং প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত দুর্নীতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে র মূল আলোচ্যসূচিতে ওই তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সিআইডিকে সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি একমাত্র ছিল। সেখানে ওই তিন বাস্তুকারের বিরুদ্ধে তদন্তের সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement