তীব্র জল-সঙ্কট হরিশ্চন্দ্রপুরে

জল তোলার দুটি পাম্পের মধ্যে একটি পাম্প গত তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। আবার দিনকয়েক ধরে জল উঠছে না দ্বিতীয় পাম্প থেকেও। দাবদাহের মুখে ৬ দিন ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে থাকায় প্রবল জলকষ্টে ভুগছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকার ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। সমস্যা শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন পিএইচই দফতরে আবেদন নিবেদন জানালেও ফল না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন। এলাকার বাসিন্দারা। স্টেবিলাইজারের যান্ত্রিক সমস্যার জন্য ওই প্রকল্পে জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫৫
Share:

জল তোলার দুটি পাম্পের মধ্যে একটি পাম্প গত তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। আবার দিনকয়েক ধরে জল উঠছে না দ্বিতীয় পাম্প থেকেও। দাবদাহের মুখে ৬ দিন ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে থাকায় প্রবল জলকষ্টে ভুগছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকার ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। সমস্যা শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন পিএইচই দফতরে আবেদন নিবেদন জানালেও ফল না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন। এলাকার বাসিন্দারা। স্টেবিলাইজারের যান্ত্রিক সমস্যার জন্য ওই প্রকল্পে জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের চাঁচলের সহকারি বাস্তুকার তরুব্রত রায় বলেন, “বেশির ভাগ সময়েই বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকছে। কিন্তু যে স্টেবিলাইজার রয়েছে তা দিয়ে সমস্যা মিটছে না। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে।” তিন বছর ধরে একটি পাম্প অকেজো হয়ে থাকলেও কেন তা পাল্টানো যাচ্ছে না? সহকারি বাস্তুকার বলেন, “নতুন পাম্পের জন্য টাকা চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। টাকা পেলেই কাজ করা হবে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “এ ক্ষেত্রে আমাদের তো সরাসরি কিছু করার নেই। মহকুমার উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিটি সভাতেই তুলসিহাটায় অকেজো পাম্পটি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে। দুটি পাম্প থাকলে সমস্যা এড়ানো যেত। দফতরের সঙ্গে কথা বলছি দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে।”

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় পন্চায়েতের দেওয়া হাতেগোনা কয়েকটি অগভীর নলকূপ রয়েছে। গরম পড়তেই জলস্তর নেমে যাওয়ায় তাতে জল উঠছে না। ফলে পিএইচই-এর পানীয় জলই বাসিন্দাদের ভরসা। তুলসিহাটা বীরেন্দ্র কুমার উপবাজার চত্ত্বর ও গ্রন্থাগারের সামনে দুটি পাম্প রয়েছে। কিন্তু উপবাজারের পাম্পটি তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে থাকায় তুলসিহাটা, বাংরুয়া, ভবানীপুর, কামার্তা, সালালপুর, রাড়িয়াল, মহেন্দ্রপুর, কস্তুরিয়া সহ ১০টি এলাকার ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা জলকষ্টে ভুগছেন। মাঠের স্যালো পাম্পসেট থেকে অনেককেই জল নিয়ে এসে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। তাদের আরও অভিযোগ, “একটি পাম্প অকেজো হয়ে থাকায় মাঝেমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়ায় বাসিন্দারের সমস্যায় পড়তে হয়। তার পরেও দফতরের কোনও হেলদোল নেই।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, “একে দাবদাহ শুরু হয়েছে, তার উপরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।” পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য বিনোদ গুপ্ত বলেন, “দফতরে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। দ্রুত সমস্যা না মিটলে পথে নামতে হবে।” হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি জামিল ফিরদৌসও বলেন, “দাবদাহ চলতে থাকায় চারদিকে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অথচ ওখানে প্রকল্প থেকেও বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এটা মানা যায় না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন