তালা ভেঙে চুরি রায়গঞ্জ করোনেশনে

বেশ কয়েকটি ঘরের তালা ভেঙে চুরি হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে। রবিবার ভোর চারটে নাগাদ অন্তত পাঁচ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল স্কুলের পিছনের সীমানা পাঁচিলের তালা ভেঙে স্কুলচত্বরে ঢোকে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১২
Share:

তছনছ করা হয়েছে নথিপত্রও। রবিবার তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।

বেশ কয়েকটি ঘরের তালা ভেঙে চুরি হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে।

Advertisement

রবিবার ভোর চারটে নাগাদ অন্তত পাঁচ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল স্কুলের পিছনের সীমানা পাঁচিলের তালা ভেঙে স্কুলচত্বরে ঢোকে বলে অভিযোগ। প্রধানশিক্ষক, সহকারি প্রধানশিক্ষকের ঘর-সহ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অফিস ঘর, নিউট্রেশন ক্লাসরুম, ক্যন্টিন, টিচার্স কমনরুমের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে, একাধিক আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, একাধিক স্মারক-সহ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরি করে সে পালায় বলে অভিযোগ। প্রতিটি ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নথি তছনছ করা হয়েছে। ঘটনার পরে, অন্যান্য দুষ্কৃতীরা পালালেও এক যুবক ধরা পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শিবা পাশোয়ান। তার বাড়ি রায়গঞ্জের কুমারডাঙি এলাকায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নগদ টাকা-সহ অন্তত ১০ হাজার টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। দুষ্কৃতীরা চুরির উদ্দেশ্যেই স্কুলে ঢুকেছিল, নাকি তাদের কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর পরিকল্পনা ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্কুলে চুরি ও তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা চুরির উদ্দেশ্যেই স্কুলে ঢুকেছিল।”

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অফিস ঘরে তালা ভেঙে ঢুকে একটি আলমারি ভেঙে নগদ ৪ হাজার টাকা চুরি করে। আরেকটি আলমারি ভাঙার চেষ্টা করে। সেটি ভাঙতে না পেরে দুষ্কৃতীরা পাঁচটি পিতলের স্মারক চুরি করে ওই ঘরের নথি ও আসবাবপত্র তছনছ করে। নিউট্রেশন ক্লাসরুম ও ক্যান্টিনের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ও শুকনো খাবারও চুরি হয়েছে। সহকারি প্রধান শিক্ষকের আলমারি ভেঙে ৭০০ টাকা চুরি করে, টেবিলের ড্রয়ার থেকে নথি বার করে তছনছ করে দুষ্কৃতীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ভোর চারটে নাগাদ প্রধান শিক্ষকের ঘরে আলো জ্বলতে দেখে চুরির বিষয়টি টের পেয়ে চিত্‌কার শুরু করেন স্কুলের নৈশপ্রহরী রামগোপাল ঘোষ। তা শুনে চার দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। শিবা নামে অভিযুক্ত ওই যুবক পালাতে না পেরে টিচার্স কমনরুমের শৌচাগারে ঢুকে পড়ে বলে। রামগোপালবাবু তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে। সে সময়ে রামগোপালবাবুর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তকে আটক করে বেঁধে রাখেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাকি অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত করতে হবে।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অমিত সরকার জানান, “রামগোপালবাবুকে স্কুলের তরফে পুরস্কৃত করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন