দ্রুত বাস চালুর দাবি, ক্ষোভ নাটাবাড়িতে

কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুটে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাস পরিষেবা চালুর দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুটে নিগমের দুটি বাস যাতায়াত করত আচমকা ওই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০৩:২৪
Share:

কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুটে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাস পরিষেবা চালুর দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুটে নিগমের দুটি বাস যাতায়াত করত আচমকা ওই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নানা মহলে দাবি জানালেও আখেরে লাভ হয়নি। ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে রুটের নিত্যযাত্রীদের। সন্ধ্যার পর কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুটে যাতায়াতে সরাসরি বেসরকারি বাস থাকছে না বলে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পরিস্থিতির জেরে সন্ধ্যার পর এলাকার বাসিন্দাদের চিলাখানা কিংবা তুফানগঞ্জ মহকুমা সদর হয়ে জেলা সদর কোচবিহারে যাতায়াতের বাস ধরতে হচ্ছে। কোচবিহার থেকে স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা কিংবা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা কাজে জেলা সদরে যাওয়া বাসিন্দারাও নাটাবাড়ি ফেরার ব্যাপারে সমস্যায় পড়ছেন।

Advertisement

নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এনবিএসটিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছি।” ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, দৈনিক গড়ে হাজারের বেশি মানুষ কোচবিহার রুটে যাতায়াত করেন। তা মাথায় রেখেই ওই রুটে এনবিএসটিসির দুটি বাস চালু করা হয়। প্রতি ট্রিপে ভিড় হত। তার পরেও আচমকা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এখন ভরসা কয়েকটি বেসরকারি বাস। তুলনামূলক ভাবে সংখ্যায় বেশি কিছু ছোট গাড়ি থাকলেও ঠাসাঠাসি ভিড় না হলে সেগুলি অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। সন্ধ্যার পর যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যার পর জেলা সদরের সঙ্গে নাটাবাড়ির যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, অলাভজনক ও বাসের সংখ্যা কমে যাওয়া জনিত কারণে বেশ কিছু রুটে পরিষেবা বন্ধ করা হয়। সেই তালিকায় কোচবিহার-নাটাবাড়ি রুট ছিল। তবে নিগমে বেশ কিছু নতুন বাস এসেছে। তারপর থেকেই ওই রুটে বন্ধ বাস পরিষেবা চালুর চেষ্টা হচ্ছে। কোচবিহার থেকে সরাসরি নাটাবাড়ি পর্যন্ত না নাটাবাড়ি ভায়া হয়ে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত রুটে বাস চালানো হবে, সে ব্যপারে আলোচনা চলছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেব ঠাকুর জানান, পরিষেবা চালুর চেষ্টা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

কর্মবিরতি। অস্থায়ী কর্মীদের নিরাপত্তা, হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সারাদিন কর্মবিরতি পালন করছে অস্থায়ী কর্মীরা। বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পরই আন্দোলন শুরু করেন। মঙ্গলবার ইসলামপুর শহরে কিছু এলাকা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। সেই সময় একদল যুবক দফতরে হামলা চালায়। অস্থায়ীদের ধাক্কাধাক্কিও করে। ইসলামপুরের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ইসলামপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার রমেশ মধু বলেন, “কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত ছিল। তার জেরে হামলা হয়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন