একশো দিনের কাজ প্রকল্পে আর্থিক নয়ছয়ের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার মহকুমা শাসক শীতলখুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শীতলখুচি পঞ্চায়েত সমিতির একশো দিনের কাজের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগাম অফিসার। এ ছাড়াও ছোট শালবাড়ি এলাকার একটি ডাকঘরের ৩ কর্মীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে মহকুমা শাসক অভিযোগ জানানোর পরে একদিন পার হয়ে গেলেও কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলখুচি পঞ্চায়েত সমিতির ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চলতি বছরের শুরুতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর খোঁড়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্তত ৪৭টি প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই বিডিও ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) দু’দফায় তদন্ত করেন। তদন্তে জানা যায়, পুকুর সংস্কার না করে ভুয়ো বিল দিয়ে টাকা তোলা, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সংস্কার কাজ করা, অতিরিক্ত খরচ দেখানোর মত নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এমনকী সুপারভাইজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে খাতায় কলমে যাদের দেখানো হয়েছে তাঁরা অনেকেই ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলেও তদন্তে জানা যায়। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “প্রশাসনিক তদন্তের পর আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই মহকুমা শাসককে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”