দলেই ক্ষোভ, মন্ত্রীর ছেলেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত এখনই নয়

পূর্তমন্ত্রীর ছেলেকে পুরসভার আইনজীবী নিয়োগ করা নিয়ে দলের একাংশ কাউন্সিলরের বিদ্রোহের জেরে কিছুটা পিছু হটলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা। শুক্রবার তিনি ওই কাউন্সিলরদের আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “নিয়োগ নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের কাছে সাত দিন সময় চেয়েছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০২:৩০
Share:

পূর্তমন্ত্রীর ছেলেকে পুরসভার আইনজীবী নিয়োগ করা নিয়ে দলের একাংশ কাউন্সিলরের বিদ্রোহের জেরে কিছুটা পিছু হটলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা। শুক্রবার তিনি ওই কাউন্সিলরদের আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “নিয়োগ নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের কাছে সাত দিন সময় চেয়েছি। বিষয়টি সাত দিন পর তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসে পড়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব খাঁ রাতে পুরভবনে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূল কাউন্সিলর ব্রতময় সরকার, শঙ্কর দত্তর অভিযোগ, “পুরসভায় আইনজীবী নিয়োগে নিয়মনীতি মানা হয়নি। আমরা নিয়োগ বাতিলের দাবি থেকে সরছি না।”

এই অবস্থায় পুরসভার উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। এ দিন বিজেপির টাউন কমিটির তরফে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পথসভা করে পুরসভায় পূর্তমন্ত্রীর ছেলেকে আইনজীবী নিয়োগ করার চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু সরকার বলেন, “পুরসভায় ৯ মাস আগে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করেছে। তার পর থেকে দলীয় দ্বন্দ্বে এখনও শহর উন্নয়নে কোনও প্রকল্পের কাজ হয়নি। তার উপর আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলে প্রকাশ্য বিদ্রোহ সামনে আসায় নাগরিকেরা বিভ্রান্ত।”

Advertisement

সম্প্রতি স্থানীয় বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলেকে পুরসভায় আইনজীবী নিয়োগ করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হন পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ কাউন্সিলর। একাধারে পুরবোর্ডের সভা এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্যদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে একতরফা ভাবে চেয়ারপার্সন ওই নিয়োগ করতে চলেছেন বলে অভিযোগ তুলে সরব হন দলের একাংশ কাউন্সিলর। এ নিয়ে ঘরে-বাইরে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন চেয়ারপার্সন। তাই দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের শান্ত করতে শুক্রবার তাঁদের নিয়ে পুরসভায় বৈঠক করেন পুরসভার তৃণমূল দলনেতা তথা ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীল। রাজেনবাবু বলেন, “যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা মিটে যাবে। শহরে নিয়মিত জঞ্জাল ও নর্দমা সাফাই চালু রয়েছে পথবাতি, পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রগুলি সচল রয়েছে। বাড়িতে পানীয় জল প্রকল্পের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন