দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কোচবিহারের জেলা সম্পাদককে পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। মঙ্গলবার দলের জেলা নেতাদের বৈঠকে দুলাল দে’র জেলা সম্পাদকের পদ কেড়ে নেওয়া হল। লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে, কোচবিহারের প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছিলেন দুলালবাবু। কলকাতায় গিয়ে হরিশচন্দ্র স্ট্রিটে দলনেত্রীর বাড়িতে গিয়ে প্রার্থী নিয়ে লিখিত আপত্তিও জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে দলের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দানা বাঁধে। সে কারণে দলের সর্ব স্তরে কড়া বার্তা দিতে জেলা সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন দলের জেলা অফিসে বৈঠকে ব্লক কমিটির সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যদেরও ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের পরে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দল বিরোধী কাজেদুলাল দত্তকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” যদিও দলবিরোধী কাজ বলতে কোন ঘটনাকে বলা হয়েছে তা নিয়ে জেলা সভাপতি কোনও মন্তব্য করতে চাননি
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল এই অবস্থায়, লোকসভা নির্বাচনে যাতে তার কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্য দুলালবাবুকে পদ থেকে সরিয়ে নেতা-কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিলেন দলের জেলা সভাপতি। লোকসভা ভোটে কোচবিহারে রেণুকা সিংহের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন দুলালবাবু। বিকল্প প্রার্থী কারা হতে পারেন, তার তালিকাও দলের নেতৃত্বের কাছে তিনি পাঠিয়েছিলেন। যদিও জেলা নেতৃত্বের এ দিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুলালবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিনও তিনি বলেন, “প্রার্থী অনেকেরই পছন্দ হয়নি। অনেকেই প্রার্থীকে চেনেন না। তাই প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছি। তবে সেটা যখন মানা হয়নি, তখন তাঁকেই জেতানোর জন্য কাজ করব।” পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা জেলা সভাপতির নেই। তিনি এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ করেছেন। দলনেত্রীকে বিষয়টি জানাব।”