ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে কানে কোপ যুবকের

সাত মাস আগে প্রতিবেশী এক যুবককে ছয় হাজার টাকা ধার দিয়েছিল মুন্না সিংহ। কয়েকবার সেই টাকা ফেরত চাওয়ার পরেও তা দিতে অস্বীকার করেন ওই প্রতিবেশী যুবক উত্তম ঘোষ। সেই বকেয়া টাকা চাইতে গেলে উত্তমবাবু হাঁসুয়া নিয়ে মুন্না সিংহের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৪
Share:

কমলাবাড়িতে আহত মুন্না সিংহ।

সাত মাস আগে প্রতিবেশী এক যুবককে ছয় হাজার টাকা ধার দিয়েছিল মুন্না সিংহ। কয়েকবার সেই টাকা ফেরত চাওয়ার পরেও তা দিতে অস্বীকার করেন ওই প্রতিবেশী যুবক উত্তম ঘোষ। সেই বকেয়া টাকা চাইতে গেলে উত্তমবাবু হাঁসুয়া নিয়ে মুন্না সিংহের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। হাঁসুয়ার কোপে মুন্না সিংহের বাঁ কান কেটে ঝুলে যায়। কানে ১১টি সেলাই পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ইংরেজবাজার থানার কমলাবাড়ি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের মাকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুন্না সিংহ সক্রিয় বিজেপি কর্মী ও অভিযুক্ত উত্তম ঘোষ তৃণমূল কর্মী। জখম মুন্না সিংহকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাওনা টাকা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে মারপিটে একজনের কান কেটে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকী দু’জনকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”

Advertisement

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুন্না ও উত্তম দুই জনই দিনমজুর। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি মুন্না বলেন, “এক মাসের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে উত্তম আমার কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও উত্তম টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। আমাকে দেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আজকে কমলাবাড়ি রেলগেটের কাছে ওকে ধরে টাকা চাইতে উত্তম ও ওর বাবা মা আমার উপর চড়াও হন। উত্তম হাঁসুয়া চালায়। হাঁসুয়ার হাত থেকে মাথা বাঁচলেও কানটি কেটে ঝুলে গিয়েছে।” এর পিছনে কোনও রাজনীতি আছে কিনা জানতে চাইলে মুন্না সিংহ বলেন, “আমি বিজেপি করি। উত্তম তৃণমূল করে। কিন্তু আজকের এই হামলার পিছনে কোন রাজনীতি নেই।” উত্তম ঘোষের মা পুষ্প ঘোষ বলেন, “কালকে মদের আসরে মুন্না সিংহ আমার ছেলেকে মেরেছিল। তারই জেরে আজকে ফের আমার ছেলের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। কী ভাবে ওর কান কেটেছে বলতে পারব না।”

বিজেপি-র জেলা সভাপতি শিবেন্দুশেখর রায় বলেন, “আমাদের সমর্থক ওই তৃণমূল কর্মীর কাছে টাকা পেতো। সেই টাকা চাইতে গেলে ওই তৃণমূল কর্মী আমাদের সমর্থকের উপর হাঁসুুয়া দিয়ে হামলা চালিয়ে কান কেটে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “সারা রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সেই সন্ত্রাস মালদহেও চালাচ্ছে তৃণমূল।” এদিকে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় সাহা বলেন, “এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। এটা গ্রাম্য বিবাদ।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কোনও দিন হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিজেপি গ্রাম্য বিবাদকে রাজনীতির রং লাগালোর চেষ্টা করছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন