নিজেদের অন্য সংস্থার টাকাতেই চলছে হিমুল

নিজেদের সংস্থার থেকে ‘ধারে’ টাকা নিয়েই আপাতত উৎপাদন চালাচ্ছে হিমুল। কর্মী-আধিকারিকেরা বকেয়া বেতনও পাওয়া শুরু করেছেন। সংস্থা সূত্রে খবর, নিজেদের পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কারখানা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দুধ প্যাকেটজাত করার কারখানা চালু রেখেছেন হিমুল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি শহরের চম্পাসারি এলাকায় হিমুলের ওই পশুখাদ্য তৈরির কারখানা রয়েছে। সম্প্রতি, সেখানকার তহবিল থেকে দু’দফায় মাটিগাড়ার দুধের কারখানায় ওই টাকা ধার হিসাবে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৯
Share:

নিজেদের সংস্থার থেকে ‘ধারে’ টাকা নিয়েই আপাতত উৎপাদন চালাচ্ছে হিমুল। কর্মী-আধিকারিকেরা বকেয়া বেতনও পাওয়া শুরু করেছেন।

Advertisement

সংস্থা সূত্রে খবর, নিজেদের পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কারখানা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দুধ প্যাকেটজাত করার কারখানা চালু রেখেছেন হিমুল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি শহরের চম্পাসারি এলাকায় হিমুলের ওই পশুখাদ্য তৈরির কারখানা রয়েছে। সম্প্রতি, সেখানকার তহবিল থেকে দু’দফায় মাটিগাড়ার দুধের কারখানায় ওই টাকা ধার হিসাবে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হতে পারে বলেও হিমূল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই টাকা দিয়ে দুধের বকেয়া কিছুটা মিটিয়ে সরবরাহ চালু করা হয়। তার পরে রোজকার বিক্রির টাকা দিয়ে তা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বকেয়া বেতন দফায় দফায় পাওয়া শুরু করেছেন কর্মী-আধিকারিকেরা। বর্তমানে দিনে গড়ে ১০ হাজার লিটার দুধ প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। রোজ লস্যি গড়ে ১ হাজার লিটার, পনির ১০০ কেজি এবং দই ১০০ কেজি মতো বিক্রি হয়। হিমূলের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও) তথা শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক পেম্বা শিরিং শেরপা বলেন, “পশুখাদ্য কারখানার টাকা নিয়ে দুধের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক করা হয়েছে।” তিনি জানান, ভোটপর্ব মিটলে সরকার নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।

লোকসভা ভোটের দিনঘোষণার আগেই হিমুলে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দফায় হিমূল দুধের কারখানা আর্থিক কারণে বন্ধও হয়ে যায়। সরকারি অনুদান বা আর্থিক সাহায্য নিয়ে কতৃর্পক্ষ কলকাতায় দরবারও করেন। কিন্তু ভোটের জন্য তা মেলেনি। তখন শাখা সংস্থা থেকে টাকা নেন হিমুল কর্তৃপক্ষ। ১৯৯১ সালেও দুই মাস হিমুল বন্ধ ছিল। গত ফেব্রুয়ারি থেকে হিমুলের অচলাবস্থা শুরু হয়। বাজারে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বকেয়া হয়ে যায়। সেই টাকা না দিলে দুধ দেওয়া যাবে না বলে সরবরাহকারীরা জানিয়ে দেন। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীদের বেতনও বন্ধ হয়। ফেব্রুয়ারির বেতন কর্মীরা মার্চের শেষে পান। চলতি মাসের বেতন ১২ এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংস্থা সূত্রের খবর, বর্তমানে বিহারের বারৌনি ও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে দুধ আনা হচ্ছে। বৈশাখ মাসের এই সময় গরম ছাড়াও বিয়ে-সহ নানা অনুষ্ঠান থাকে। সেই কারণে দুধের যোগানে টানও পড়ে। ভোটের পরে সরকারি সাহায্য মিললে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করা যাবে বলে সংস্থার অফিসারদের আশা। ফের রোজ গড়ে ১৫ হাজার লিটার দুধ বাজারে যাবে। হিমুল কর্মীসংখ্যা ১৩০। অনেকেরই পিএফ, গ্র্যাচুইটি টাকা মেটাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। কয়েকজন অবসর নিয়েও প্রাপ্য টাকা পাননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন