নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র নিয়ে প্রচার ভোটে

নাটকের শহর বলে বিখ্যাত বালুরঘাটের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে ভোটের প্রচার। নাট্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যসম্পন্ন এই শহরের বহু আকাঙ্ক্ষিত এই উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির কথা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল সরকার। তখন অভিযোগ উঠেছিল, বাম আমলে দীর্ঘদিন ধরে এই শহরের নাটকের প্রতি আবেগকে অবহেলা করা হয়েছে বলেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০১:৪১
Share:

নাটকের শহর বলে বিখ্যাত বালুরঘাটের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে ভোটের প্রচার। নাট্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যসম্পন্ন এই শহরের বহু আকাঙ্ক্ষিত এই উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির কথা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল সরকার। তখন অভিযোগ উঠেছিল, বাম আমলে দীর্ঘদিন ধরে এই শহরের নাটকের প্রতি আবেগকে অবহেলা করা হয়েছে বলেও। এখন তৃণমূল বিরোধীরা অবশ্য তিন বছর পরেও এই উৎকর্ষ কেন্দ্রটি করা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উৎকর্ষ কেন্দ্রটি দ্রুত গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষকে সামনে রেখেই বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গ নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ার যাবতীয় পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। বালুরঘাটের নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন হরিমাধববাবু। পরে জেলায় কর্মিসভার প্রচারে লোকসভা ভোটে বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন। সেই কেন্দ্র নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়েছে? অর্পিতা বলেন, “কেন্দ্রটি গড়তে কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে বালুরঘাট পুলিশ লাইনের পিছনে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের চকবাখর মৌজায় ২ একর সরকারি খাস জমির উপর নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়া হবে বলে ক্ষমতা এসে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। এই খাতে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ১৯ লক্ষ টাকা জেলায় চলেও এসেছে। তা দিয়ে সীমানা পাঁচিল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় নাট্যকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে ওই এলাকায় কেন্দ্রটি গড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। শহরের কিছু নাট্যকর্মীর দাবি, শহর থেকে দূরে একটি নির্জন গ্রাম্য এলাকায় ওই কেন্দ্র গড়া হলে কোনও লাভ হবে না।

Advertisement

তবে এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “শহরের মধ্যে এত বড় মাপের নাট্যচর্চাকেন্দ্র তৈরির মতো জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই চকবাখর এলাকায় কেন্দ্রটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, তিন বছর ধরে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের টাকা এসে পড়ে ছিল। চকবাখর মৌজায় মাটি পরীক্ষা করে খসরা পরিকল্পনা হলেও কাজ শুরু হয়নি। তা ছাড়া, শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে প্রশাসন সূত্রের খবর। নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রটিতে নাটকের গবেষণাগার, নাট্য সংগ্রহশালা, নাট্যচর্চা এবং অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, কম্পিউটার, ডিজিটাল শব্দ ও আলো-সহ রকমারি ব্যবস্থা করে উৎকর্য কেন্দ্রটি গড়া হবে। নাট্য গবেষকদের ফেলোশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement