আত্মীয়ের বিয়েতে পরিবারের সঙ্গে ভোজ খেতে গিয়েছিল ১০ বছরের আদিবাসী এক নাবালিকা। ভোজ খেয়ে একাই বাড়ি ফিরছিল ওই নাবালিকা। তখনই নববিবাহিত ওই যুবক ওই নাবালিকার পিছু নিয়ে মাঝরাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
রবিবার সন্ধ্যায় মালদহের হবিবপুরের মারালু গ্রামের এই ঘটনার পরে সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবক চন্দন মুর্মুকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যার বিয়েতে পরিবারের সঙ্গে ওই নাবালিকা গিয়েছিল, সেই যুবকই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।”
কাঁচিয়াডাঙ্গা গ্রামে শনিবার ওই বিয়েতে বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। বিয়ের পরদিন রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ একাই বাড়ি ফিরছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে চন্দন নববধূকে ঘরে রেখে তার পিছু নেয়। মারালু গ্রামের আগে জঙ্গলের কাছে চন্দন ওই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে ধর্ষণ করে ওই নাবালিকে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে ওই যুবক বাড়ি ফিরে আসে। এ দিকে বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ওই নাবালিকার বাবা মা ও পরিজনেরা খুঁজতে বের হন। পরে জঙ্গলের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ওই নাবালিকাকে প্রথমে বুলবুলচন্ডি আরএনরায় হাসপাতালে ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে ওই নাবালিকার জ্ঞান ফিরলে তার কাছে গোটা ঘটনা জানার পরই ওই নাবালিকার বাবা হবিবপুর থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ কাঁচিয়াডাঙ্গা গ্রামে হানা গিয়ে অভিযুক্ত চন্দন মুর্মুকে গ্রেফতার করে।