ন্যূনতম মজুরি বাড়ছে না, জানালেন মন্ত্রী

যৌছ মঞ্চের দাবি মেনে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এক বছরের মধ্যে যে করা সম্ভব নয় তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শলিগুড়িতে শনিবার বিকেলে শ্রমিক মেলায় যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান, সরকারের চিন্তাভাবনায় ন্যূনতম মজুরি হার নয়, আপাতত ৪২ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ, বামেরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুই করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২৪
Share:

যৌছ মঞ্চের দাবি মেনে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এক বছরের মধ্যে যে করা সম্ভব নয় তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শলিগুড়িতে শনিবার বিকেলে শ্রমিক মেলায় যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান, সরকারের চিন্তাভাবনায় ন্যূনতম মজুরি হার নয়, আপাতত ৪২ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ, বামেরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুই করেননি। এখন শ্রমিক দরদি হয়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

Advertisement

যদিও যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে তাঁদের পুরনো দাবি থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। এদিন শিলিগুড়ির দাগাপুরে রাজ্যের শ্রম দফতর আয়োজিত শ্রম মেলায় যোগ দেন শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শ্রম কমিশনার জাভেদ আখতার, উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান প্রমুখ। মূলত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে শ্রমিকদের জানাতে প্রচারের উদ্দেশ্যেই এই মেলা বলে মলয়বাবু জানান।

এদিন শ্রমমন্ত্রী বলেন, “বাম আমলে ১ টাকা ২ টাকা করে বাড়ানো হত। তাঁরা এখন বিরোধী হয়ে বড় বড় কথা বলছেন। আমরা মজুরি বাড়ানোর জন্য শ্রমিক, মালিক দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি। কাউকে বাদ দিয়ে কোনও চুক্তি হবে না। প্রয়োজনে যৌথ মঞ্চকে বোঝানো হবে।” এমনকী ন্যূনতম মজুরি ঠিক করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন বলে মলয়বাবুর মত। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এত দ্রুত তা সম্ভব নয় বলেও জানান মন্ত্রী।

Advertisement

যৌথ মঞ্চের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “অসম সরকার ৩১ ডিসেম্বর মজুরি চুক্তি শেষ হয় যাওয়ার পরে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা পালন করতে পারছে না। দরকার হল আরও সময় নিক তাঁরা, কিন্তু করা সম্ভব নয় বলে মন্ত্রীর এই ঘোষণায় শ্রমিকদের মনোবল ভেঙে যাবে।” তিনি আরও জানান, আগে শ্রমিকরা অনেক বেশি পরিষেবামূলক সুবিধা পেতেন। এখন তাতে শ্রমিকদের চাহিদা মিটছে না বলেও জানান তিনি। আগামী ১৯ জানুয়ারি সোমবার উত্তরবঙ্গের ১০ টি বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

এদিনের মেলার মঞ্চ থেকে বহু শ্রমিক পরিবারকে বিভিন্ন প্রকল্পে ৬ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত, দুর্ঘটনায় মৃত, পড়াশোনার জন্য, প্রসূতি হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করেন শ্রমমন্ত্রী। এই মেলা শনিবার ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন