নকল করায় তেরোশো পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল

নকলে নজির গড়ল মালদহের দশটি কলেজ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু-সপ্তাহে কলেজগুলির তেরোশোর বেশি পরীক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় তাঁদের খাতা ‘আর এ’ বা বাতিল করা হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস এমনই তথ্য দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ছাড়াও রয়েছে দুই দিনাজপুরের আরও ১১টি কলেজ। কলেজগুলিতে ‘হোম সেন্টার’ পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। আর তারই ফল মিলেছে হাতেনাতে। এমনই দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

পীযূষ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৪ ০২:০৪
Share:

নকলে নজির গড়ল মালদহের দশটি কলেজ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু-সপ্তাহে কলেজগুলির তেরোশোর বেশি পরীক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় তাঁদের খাতা ‘আর এ’ বা বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস এমনই তথ্য দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ছাড়াও রয়েছে দুই দিনাজপুরের আরও ১১টি কলেজ। কলেজগুলিতে ‘হোম সেন্টার’ পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। আর তারই ফল মিলেছে হাতেনাতে। এমনই দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

গত বছর যথেচ্ছ নকল রুখতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেঘনাদ সাহা ও হরিরামপুর কলেজে হেনস্থার শিকার হন সনাতনবাবু। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল তাঁকে। ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁর গাড়িও। এর পরেই নকল রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তুলে দেওয়া হয় হোম সেন্টারে পরীক্ষা ব্যবস্থা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, “এটা হোম সেন্টার তুলে দেওয়ার সুফল। এর আগে পড়ুয়ারা নিজেদের কলেজেই পরীক্ষা দিত। ফলে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি কলেজে যথেচ্ছ নকল হত।”

Advertisement

তাঁর অভিযোগ, ওই সব কলেজের শিক্ষকদের একাংশও ওই নকলে মদত দিত। ফলে পরীক্ষার্থীদের শাস্তি দিতেও ‘দ্বিধা’ করতেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে নকল করে কিছু ছাত্রছাত্রী এমন ফল করতেন যে মেধাবীরা বিস্মিত ও হতাশ হতেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল চন্দ্র মিশ্র বলেন, “নকল একশো শতাংশ বন্ধ করতে পারিনি ঠিকই। তবে নকল অনেকটাই রোখা গিয়েছে।”

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ সহ দুই দিনাজপুরে মোট ৪৩টি কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ডিগ্রি কলেজ ২১টি। পার্ট ওয়ান পরীক্ষায় ৩৬৮৫৪ জন পরীক্ষার্থী ও পার্ট ট-তে ২৫৬২৩ পরাক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। ১৬ জুন থেকে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। আগে কখনও একই শিক্ষাবর্ষে এতজন নকল করতে গিয়ে ধরা পনেনি বলে জানা গিয়েছে। স্নাতক স্তরের পরীক্ষা শেষ হতে ২৪ দিন বাকি। নকলের অভিযোগে আরও পরীক্ষার্থী সাজা পেতে পারেন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ বছর কালিয়াচক কলেজ ও গৌড় মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন মালদহ কলেজে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র মালদহ কলেজেই ৪৬৭ পরীক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মালদহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার বলেন, “অনেক আগেই হোম সেন্টার তুলে দেওয়া উচিত ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন