এখানেই প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার কথা। মহিষবাথানে ছবিটি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব।
পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ কোচবিহারে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত শনিবার রাতে পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ফ্যাক্স পাঠিয়ে ওই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু শহর লাগোয়া মহিষবাথান এলাকার জেডি হাসপাতাল চত্বরে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা জানিয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, “বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাহিদা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজ তৈরির বিষয়টি চূড়ান্ত করায় আমরা কৃতজ্ঞ। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই সংস্থা ১০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক মোহন গাঁধী জানান, শহর লাগোয়া জেডি হাসপাতাল চত্বরে ২২ একর জমি আছে। তার বেশির ভাগটাই ফাঁকা। সমীক্ষা করে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য ওই জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে কোচবিহার সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান। তার পরেই প্রশাসনিক স্তরে জমি খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসে ওই কাজ শুরুর সম্ভবনা রয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কাজ সম্পূর্ণ হলে শিলিগুড়ি মালদহ পর উত্তরবঙ্গের তৃতীয় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হবে কোচবিহারে। বিরোধীরা এই বিষয়টিকে লোকসভা ভোটর মুখে চমক মনে করেন। ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ এ দিন বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের দরকার নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। আগে সে সর ব্যবস্থা না করে লোকসভা ভোটের মুখে চমক দেওয়া হয়।” সিপিএম নেতা অনন্ত রায়ের প্রতিক্রিয়া, “লোকসভা ভোটের কথা ভেবেই সব হচ্ছে।” তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।