প্রত্যাশিত জয় শিলিগুড়ির

‘সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়’ বা ‘সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়’। যে কোনও শিরোনামই বসিয়ে দেওয়া যায় বুধবারের কিরণ চন্দ্র নৈশ ফুটবলের শিলিগুড়ির গ্লোব ট্রটার্স স্পোর্টিং ক্লাব (জিটিএসসি) বনাম ইম্ফলের নিউ স্পোর্টস অর্গানাইজেশনের মধ্যের খেলার পর। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে একপেশে খেলায় জিটিএসসি জিতল ৫-০ গোলে। খেলার পরে দু’দলের কোচই ম্যাচের ফল প্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেন। তবে মণিপুরি দলটির এটাই প্রথম কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে আসা। তাই এই হারকে তাঁরা অভিজ্ঞতা হিসেবে নিচ্ছেন বলে জানান কোচ জয়চন্দ্র।

Advertisement

সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৬
Share:

ম্যাচের একটি মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।

‘সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়’ বা ‘সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়’। যে কোনও শিরোনামই বসিয়ে দেওয়া যায় বুধবারের কিরণ চন্দ্র নৈশ ফুটবলের শিলিগুড়ির গ্লোব ট্রটার্স স্পোর্টিং ক্লাব (জিটিএসসি) বনাম ইম্ফলের নিউ স্পোর্টস অর্গানাইজেশনের মধ্যের খেলার পর। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে একপেশে খেলায় জিটিএসসি জিতল ৫-০ গোলে। খেলার পরে দু’দলের কোচই ম্যাচের ফল প্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেন। তবে মণিপুরি দলটির এটাই প্রথম কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে আসা। তাই এই হারকে তাঁরা অভিজ্ঞতা হিসেবে নিচ্ছেন বলে জানান কোচ জয়চন্দ্র।

Advertisement

মণিপুরের কোচ বলেন, “আমার দলের সবাই অনূর্ধ্ব ১৯। এটাই প্রথম প্রতিযোগিতা। বিপক্ষ দল বেশ শক্তিশালী। তাঁদের শারীরিক সক্ষমতাও অনেকটা বেশি। ফলে পরের বার আরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলতে আসব।” অন্যদিকে জিটিএসসি কোচ দেবজ্যোতি নাহা জিতে খুশি হলেও সাবধানী। পরের ম্যাচে শক্ত প্রতিপক্ষ ও গতবারের টুর্নামেন্টের রানার্স উল্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভাল অনুশীলন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “বিপক্ষ দল একেবারে আনকোরা। তাই জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। পরের ম্যাচ এতটা সহজ হবে না। ছেলেদের এ’কথাই বলব।”

এদিন প্রথমার্ধে মোট চারটি গোল হজম করতে হয় অতিথি দলটিকে। শুরুর ২২ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন নাইজেরীয় কাজিম। ওই গোলের ধাক্কা সামলানোর আগেই ২৭ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোল করে বসেন অপর বিদেশী জোশেফ। দু’গোল খেয়ে ম্যাচেই খেই হরিয়ে ফেলে মণিপুরি অনূর্ধ্ব উনিশ। এরপর আক্রমণের ঢেউ তোলে জিটিএস। পরপর আক্রমণের ফলে আরও দুটি গোল হয় ৩৮ এবং ৪৪ মিনিটে। গোলদুটি করেন ওয়াইদি এবং কাজিম। প্রথমার্ধে ৪ গোলেই এগিয়ে থাকেন তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্রাম দিতে ওয়াইদিকে তুলে নেন কোচ। এই অর্ধেও আক্রমণের ঝাঁঝ ধরে রাখলেও একটির বেশি গোল হয়নি। ৮০ মিনিটের মাথায় জোশেফ তাঁর দ্বিতীয় এবং দলের পঞ্চম গোলটি করেন। গত দুদিনের ম্যাচের তুলনায় এদিনের ম্যাচ তুলনামূলক একপেশে হওয়ায় হতাশ দর্শকরাও। তবে এদিন আগের দুদিনের তুলনায় শিশির বেশি পড়ায় মণিপুরের দলটিকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। শক্ত মাঠে শিশির পড়ে ঘাসে একাধিকবার বল ছাড়াই পিছলে যেতে দেখা যায় তাঁদের। পিছলে না পড়লে একমাত্র গোলটি হয়ত তাঁরা পেতে পারতেন। দ্বিতীয়ার্ধে, ৬০ মিনিটের মাথায় বিপক্ষ গোলরক্ষক বাপ্পা জানাকে একা পেয়েও বল জালে ঠেলতে গিয়ে পড়ে যান। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন