এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ রুখতে পুরসভা গড়িমসি করছে বলে শিলিগুড়িতে অভিযোগ উঠেছে। কারণ চলতি মাসের গোড়ায় ব্লিচিং-ই ছিল না। এর পর এখনও নিয়মিত শুয়োর ধরার অভিযান হচ্ছে না। গোটা শহরেই তা নিয়ে অভিযোগ উঠছে। ২০ মে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত ইস্তফা দিয়েছেন। এর পর মেয়র নির্বাচনে কোনও দলই অংশ নেয়নি। তার পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসক বসানোর প্রক্রিয়া কেন শুরু হয়নি তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে শহরে। তা আঁচ করেই প্রশাসক বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার। বুধবার বিকেলে রাজ্য পুর দফতর থেকে পুরসভায় ফ্যাক্স পাঠিয়ে জানানো হয় বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে পুর পরিষেবা ঠিক মতো চলছে না। নাগরিক পরিষেবা দিতে পুরসভায় যে দায় দায়িত্ব তা ঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে না। তা হলে কেন পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে না। এই বার্তা মেলার ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে যথাযথ কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “এই দিন বিকেলেই ফ্যাক্স পৌঁছেছে। সেই মতো পুরসভার আইন সেলে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে। তারা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছেন। সেই মতো সমস্ত কিছু জানানো হবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন বলেন, “নাগরিক স্বার্থে যথাযথ নিয়ম মেনেই রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়া সরকারের কাছে বড়।” প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, তাঁরা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এই বোর্ডের মেয়াদ এখনও রয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা করলেই ঠিক কাজ হত। এমনিতেই অনেক দেরি হয়েছে গিয়েছে। তা ছাড়া প্রশাসক বসানো পুরসভার বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান নয়।” তার মধ্যে এনসেফ্যালাইটিস পরিস্থিতিতে পুরবোর্ড না থাকলে, কাউন্সিলররা না থাকলে পরিস্থিতি সমলানো সমস্যা হবে বলেই মনে করেন বিরোধীরা। পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১ অক্টোবর। বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস এ পরিস্থিতিতে প্রশাসক বসানোর পক্ষে নয়। বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ বেশি দিন নেই বলে তারা দ্রুত ভোটের দাবি তুলেছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বও ওই দাবি তুলেছেন। পুর কমিশনারকে ওই দাবিতে স্মারকলিপিও দেয় বিরোধী দলগুলি। শাসক দলের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। আবর্জনা ফেলার গাড়ি মালিকেরা দীর্ঘ দিন টাকা পাচ্ছিলেন না। গত বছরও পুজোর আগে সে কারণে পুরসভাকে তাঁরা গাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিলে সমস্যা দেখা দেয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে সমস্যা মেটাতে প্রশাসনের তরফে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেন।
পুর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ ব্যবসায়ীরা। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের ধারে ফের ঠেলায় খাবার বিক্রির অনুমতি চেয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হল ব্যবসায়ীরা। বুধবার কমিশনারকে গণ স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি দেন তাঁরা। পুর কমিশনার সোনম ওয়াদি ভুটিয়া জানান, “ঠেলা মালিকদের দাবি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা হবে।” পার্কের সৌন্দার্যায়ন করতে গিয়ে খাবারের ঠেলাগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সেখানে আর বসতে দেওয়া হবে না বলে পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।