পুলিশের সঙ্গে বিবাদ, ধৃত সভাধিপতির ভাই

মাঝ রাতে জবরদস্তি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢোকা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে গোলমাল, ধস্তাধস্তির অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেত্রী ললিতা টিগ্গার ভাই সহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:৩২
Share:

মাঝ রাতে জবরদস্তি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢোকা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে গোলমাল, ধস্তাধস্তির অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেত্রী ললিতা টিগ্গার ভাই সহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে বিমান টোপ্পো হলেন সভাধিপতির ভাই। অন্যরা তাঁর সঙ্গী। ওই রাতে এক রোগীকে জরুরি বিভাগের মাধ্যমে ভর্তি করানোর পরে জোর করে ৫ জন ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধা দেন। পুলিশ গিয়ে রুখে দাঁড়ায়। তখনই বিমানবাবু হট্টগোল পাকান বলে অভিযোগ। ওই সময়ে সভাধিপতির ভাই চেঁচামেচি করে এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতের লাঠি কেড়ে শাসান বলেও অভিযোগ। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের সন্দেহ, গোমলালের সময়ে ওই ৫ জনের মধ্যে সকলে সুস্থ ছিলেন না। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে ৫ জনকে ধরে লকআপে রেখে দেয়। শুক্রবার সকালে অবশ্য ৫ জনই ব্যক্তিগত জামিনে থানা থেকে মুক্তি পান। বালুরঘাট থানার আইসি বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালে গোলমালের জেরে রাতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বালুরঘাট আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় ধৃতদের থানা থেকে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কনস্টেবল প্রদীপচন্দ্র ঘোষ তাঁর হাতের লাঠি কেড়ে শাসানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ওই ঘটনার জন্য সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা হওয়া উচিত ছিল বলে পুলিশের একাংশের বক্তব্য। ওই কনস্টেবল প্রদীপচন্দ্রবাবু এবং তিনি ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলে থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝরিয়া বলেন, “বিশদে খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করব।”

Advertisement

জেলাপরিষদের সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা ঘটনার কথা জানেন। তিনি বলেন, “রাতে হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে গোলমাল হয়েছিল। ভাইয়ের সঙ্গীদের কেউ নেশা করে থাকতে পারে। কী বলব! তবে পুলিশের গায়ে হাত দিয়ে লাঠি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় আইনজীবী তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, “গভীর রাতে জোর করে হাসপাতালে ঢুকে সরকারি কর্মীদের হুমকি ও বাধাদানের অভিযোগ ৩৫৩ ধারা এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুজু হয়। তৃণমূল নেত্রীর আত্মীয় বলে পুলিশ ছাড় দিয়ে শাসকদলের প্রতি আনুগত্যই বজায় রাখল।”

জাল নোট-সহ ধৃত। ১৪ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কোচবিহার কোতোয়ালি থানার বাইশগুড়ি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সহিদুল হক, মুর্সলিম শেখ, আব্দুল জেম। ধৃতদের বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগরে। তাদের কাছে তিনটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগ থেকে ভারতীয় টাকার ১১০০টি এক হাজার টাকার এবং ৬০০টি পাঁচশো টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, জাল নোটগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন