শহরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পর পর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হলেন তাঁরা। বালুরঘাট থানার আইসির ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন। তবে পরপর ছিনতাইয়ে ব্যবসায়ীদের অসতর্কতাকেই দায়ী করেছেন জেলার পুলিশ সুপার।
শনিবার বালুরঘাটে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডাকে দক্ষিণ দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স। চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ বাগচির বলেন,“ গত ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সবজির আড়তদারের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের ধরতে থানার আইসি ৭২ ঘন্টা সময় নিয়েছিলেন। ওই সময় পার হওয়ার পরে আইসির সঙ্গে দেখা করলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।” ওই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে বালুরঘাটের জলঘর এলাকায় এক ব্যবসায়ী সংস্থার এজেন্টের গাড়ি আটকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়। চলতি মাসের শুরুতে বালুরঘাটের বাহিচা মোড়ে এক মিশনারির কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
কয়েকদিন আগে শহরের একটি মোবাইলের দোকান ও সোনার দোকানেও চুরির ঘটনা ঘটে হয়। জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ব্যবসায়ীদের অসতর্কতা থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলি ঘটেছে। শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে তবে দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চলছে।”
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা অভিযোগ করেন, “শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গেলে তিনি আমাদের শহরের রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দেন।” প্রকাশ্য রাস্তায় একের পর টাকা ছিনতাইয়ের পরেও পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল না দেখে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে হরেরামবাবু দাবি করেছেন। তাঁরা জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বর সমিতির সাধারণ সভা থেকে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচী নেওয়া হবে।