ফাইনালে মহানন্দা স্পোর্টিং

কিশোর সঙ্ঘকে ৭ গোলে দুরমুশ করে কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলের ফাইনালে জিটিএসসির মুখোমুখি শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাব। কোকো সাকিবো পেনাল্টি মিস না করলে সংখ্যাটা ৮ দাঁড়ায়। এই প্রতিযোগিতার সেরা দুই দলই ফাইনালে উঠেছে বলে সকলেই মনে করছেন। ফলে রবিবার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আশায় ক্রীড়াপ্রেমীরা। কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলের ইতিহাসে এর আগে আর ৭ গোল কবে হয়েছে মনে করতে পারেননি মাঠে উপস্থিত ক্রীড়াপ্রেমীরা।

Advertisement

সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০২
Share:

চলছে ম্যাচ। —নিজস্ব চিত্র।

কিশোর সঙ্ঘকে ৭ গোলে দুরমুশ করে কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলের ফাইনালে জিটিএসসির মুখোমুখি শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাব। কোকো সাকিবো পেনাল্টি মিস না করলে সংখ্যাটা ৮ দাঁড়ায়। এই প্রতিযোগিতার সেরা দুই দলই ফাইনালে উঠেছে বলে সকলেই মনে করছেন। ফলে রবিবার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আশায় ক্রীড়াপ্রেমীরা। কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলের ইতিহাসে এর আগে আর ৭ গোল কবে হয়েছে মনে করতে পারেননি মাঠে উপস্থিত ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিষয়টি নাকি এতটাই অপ্রত্যাশিত, যে ক্রীড়া পরিষদও স্কোরবোর্ডে ৬ এর বেশি কোনও সংখ্যা রাখেনি। ফলে খেলার একেবারে সপ্তম গোল হওয়ার পর উপায় না দেখে স্কোর বোর্ডের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি ৬ এর নীচেই ১ বসিয়ে দেন। যা দেখে দর্শক থেকে ক্রীড়া কর্তারাও হেসে গড়িয়ে পড়েন।

Advertisement

এর আগে প্রথম রাউন্ডের একটি ম্যাচে জিটিএস ৫ গোল করে। যেটা এদিনের আগে পর্যন্ত এবারের প্রতিযোগিতার সেরা স্কোর ছিল। এদিন তাকেও ছাপিয়ে গেল। ড্যানিয়েল বিদেমির হ্যাট্রিক, কোকোর দুই গোল শুভ ও স্নেহাশিসের একটি করে গোলেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেয় মহানন্দাকে। এই প্রতিযোগিতার গতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং শিলিগুড়ি লিগের এবারের চ্যাম্পিয়ন মহানন্দাকে ঘিরে ফের আশায় সমর্থকরা, ট্রফি তাঁদের ঘরেই যাচ্ছে। মহানন্দার এই প্রতিযোগিতার কোচ রঘু নন্দী এই ম্যাচকে গা ঘামানোর ম্যাচ হিসেবে দেখছেন। ম্যাচের পর তিনি অবশ্য সংখ্যাটা ১০ না হওয়াতে খেলোয়াড়দের জোর ধমক দেন। বলেন, “এদিন বিপক্ষ একদমই ভাল খেলেনি। তাই জয় সহজেই এসেছে।” পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বলেন, “জিটিএসের খেলা দেখেছি। ভাল দল। তবে আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই নামব।” এ দিনের খেলা দেখতে হাজির ছিলেন জিটিএসের কয়েকজন কর্তা। খেলার শেষে উদ্বিগ্ন মুখে মাঠ ছাড়লেন তাঁরা। আগের দিন দলের জয়টাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন কিশোরের কোচ সঞ্জয় গুরুঙ্গ। এ দিন অবশ্য দল “ভাল খেলতে পারেনি” বলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলেন।

খেলা শুরুর ১৩ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন ড্যানিয়েল বিদেমি। তার রেশ কাটার আগেই ৪ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোল করেন বিদেমিই। শুরুর বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে বিদেমির দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে কিশোরের খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে আরও একটি গোল করেন কোকো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কিশোরের হয়ে জ্যাকসন ভাল একটি গোল করেন। এই সময় খেলাটা ধরার চেষ্টা করেও অতিরিক্ত আক্রমণের খেসারত দিতে হয় তাঁদের। আক্রমণে দিকে নজর দিতে গিয়ে রক্ষণে লোক কমে। মহানন্দার হয়ে ৪৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন শুভজিৎ মজুমদার। চার মিনিট পরে ফের কোকো বিপক্ষ রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোল করেন। কিশোরের গোলরক্ষক শুভজিতের কিছু করার ছিল না। গোটা ম্যাচেই বেশিরভাগ সময়েই বিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর একের সামনে এক হয়ে যান। এর পরে ম্যাচে আর কিছু বাকি ছিল না। ড্যানিয়েল আরও একটি গোল করে নিজের হ্যটট্রিক সেরে নেন। ৭৮ মিনিটে কিশোরের হয়ে ব্যবধান কমান সত্যেন রায়। সংযুক্ত সময়ে কিশোর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন স্নেহাশিস দত্ত। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ফাইনাল খেলা শুরু হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন