ভারত-নেপাল সীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা কমাতে এবার স্থানীয় স্তরে কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সোমবার শিলিগুড়িতে ভারত-নেপালের ব্যবসায়ী, শুল্ক দফতর, শিলিগুড়ির পুলিশ ও কলকাতার নেপালের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে এই কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। এ দিন দু’দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় ছিলেন কলকাতায় অবস্থিত নেপালের রাষ্ট্রদূত চন্দ্রকুমার ঘিমিরে, সিআইআইয়ের চেয়ারম্যান প্রবীর শীল, নকশালবাড়ি ডিভিশনের সহকারি কমিশনার ইফতিকার হালিম, পুলিশ কমিশনার জগমোহন।
কয়েকদিনের মধ্যেই প্রস্তাবিত কমিটি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-এর চেয়ারম্যান প্রবীরবাবু। তিনি বলেন, “দু’দেশের পদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি কমিটিতে রাখা হবে সীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জড়িত ব্যবসায়ী থেকে শুল্ক দফতর ও পুলিশ কর্তা থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আধা সামরিক বাহিনীকেও।” তবে কমিটিতে কতজন থাকবে তা কমিটি নির্বাচনের সময়ই তা চূড়ান্ত করে ফেলা হবে। নেপালের রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কমিটি তৈরি হলে সীমান্তের বহু সমস্যার সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।”
সীমান্ত সমস্যা সমাধান হলে ব্যবসাতেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন সংস্থার কর্ণধার রাজ বসু। তিনিই এই কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেন। তিনি ভারত ও নেপালের মধ্যে কয়েকটি আর্থ সামাজিক সমস্যা রয়েছে বলে আলোচনায় মত প্রকাশ করেন।
ভারত-নেপাল সীমান্তের এদিকে পানিট্যাঙ্কি এবং ওদিকে কাঁকরভিটা এলাকা। এর মাঝখানে দু’দেশের সীমান্ত ভাগ করেছে মেচি নদী। এই নদীর উপরে মেচি সেতুকে কেন্দ্র করেই দু’দেশের বাণিজ্য চলে। এই সীমান্ত দিয়েই নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে প্রচুর টাকা মূল্যের জিনিসের কালোবাজারি হয় প্রতিদিন। এতে প্রচুর টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে দু’দেশেরই। এই জায়গা থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে এদিনের আলোচনা সভায়। এদিন সভায় নেপালের কিছু ব্যবসায়ীদের তরফে তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা লাঘব করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে নেপাল ও শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের সুবিধার খাতিরে চা-নিলাম শিলিগুড়িতে করার দাবি উঠেছে। এতে নেপালের ব্যবসায়ীদেরও সম্মতি মিলেছে।