বৈদ্যুতিন চু্ল্লির কাজ বন্ধের দাবিতে মিছিল

রামঘাট শ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লির কাজ বন্ধের দাবিতে ঝাড়ু উঁচিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করলেন এলাকার বাসিন্দারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁরা রিলে অনশনে বসবেন বলেও হুমকি দেন। সোমবার শিলিগুড়িতে জলপাইমোড়ের রামঘাট এলাকায় বিক্ষোভের পরে শ্মশান চত্বরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। চুল্লির কাজ বন্ধের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মহানন্দ মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২৯
Share:

ঝাড়ু হাতে মিছিল মহিলাদের। সোমবার শিলিগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।

রামঘাট শ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লির কাজ বন্ধের দাবিতে ঝাড়ু উঁচিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করলেন এলাকার বাসিন্দারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁরা রিলে অনশনে বসবেন বলেও হুমকি দেন।

Advertisement

সোমবার শিলিগুড়িতে জলপাইমোড়ের রামঘাট এলাকায় বিক্ষোভের পরে শ্মশান চত্বরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। চুল্লির কাজ বন্ধের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মহানন্দ মণ্ডল। ঘটনাচক্রে, যাঁকে মন্ত্রী চড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগে মামলা হয়েছে। এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “হাইকোর্টের তো কোনও স্থগিতাদেশ নেই। তা হলে কাজ বন্ধ করার দাবি কীভাবে জানানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।”

এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ রামঘাট শ্মশানের সামনে থেকে মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন রামঘাটের চুল্লির কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রাজেশ যাদব, মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তোলা গৌরী মিত্র, এলাকার প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ প্রমুখ। মিছিল শেষ টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। রাজেশবাবু বলেন, “আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। আমরা চুল্লি চাই না। তাই কাজ বন্ধ না হলে মঙ্গলবার থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য রিলে অনশনে বসব।” স্থানীয় নতুনপাড়া এলাকায় একটি সভা করার অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশ তা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন অমরনাথবাবু।

Advertisement

গত ২৯ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির রামঘাটে বৈদ্যুতিন চুল্লি স্থাপনের জন্য শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল। শিলান্যাস করতে ছিলেন গৌতমবাবু। শ্মশানের বাইরে চুল্লি স্থাপনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। মন্ত্রী তাঁদের কয়েকজনকে ভিতরে ডেকে কথা বলেন। সেই সময় উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে মন্ত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা উপস্থিত মহানন্দবাবুকে চড় মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে মহানন্দ, রাজেশ ও সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। মহানন্দ ও রাজেশবাবুকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে অবশ্য দুজনেই জামিনে ছাড়া পান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন