বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে অর্পিতা ঘোষ। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
২০০৯ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র যেখান থেকে শুরু করেছিলেন ২০১৪-র লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করতে হল তাঁকে। তবে পাঁচ বছর আগে বিপ্লববাবু নিজেই ছিলেন বালুরঘাট লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী। এবারের প্রার্থী নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ। ফলে অর্পিতাকে সামনে রেখেই ভোট যুদ্ধের যাবতীয় দায়িত্ব ও লড়াই বিপ্লববাবুকেই সামলাতে হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে আরএসপি প্রার্থীর কাছে বিপ্লববাবু হেরে যান। তবে ২০১১ সালের পর পরিস্থিতির আমূল বদল হয়েছে। বিধানসভা ভোটের সাফল্যের সঙ্গে সদ্য পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় তৃণমূলের উত্থান পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। জেলায় বামেরা কার্যত পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি বামবিরোধী গোষ্ঠীর।
দলের জেলা সভাপতিকে কান্ডারী করেই কলকাতাবাসী নাট্যকর্মীকে এবারে লোকসভার ভোট যুদ্ধে নামতে হবে, তা বিলক্ষণ জানেন বলেই পাশের জেলায় নাটক করতে এসে সোমবার অর্পিতাদেবী কয়েক ঘন্টার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে এসে বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে দেখা করে যান। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাটকের অনুষ্ঠান করে এদিন রাতেই তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। এদিন গঙ্গারামপুরে বিপ্লব মিত্রের বাড়িতে বসে অর্পিতাদেবী বলেন, “দিদি (নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিপ্লবদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। বিপ্লবদাই সব ঠিক করবেন।” আগামী ১২ মার্চ থেকে তিনি এই জেলায় দলের সভা করে ভোটের প্রচারে নামবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। অর্পিতাদেবী জানিয়েছেন, গঙ্গারামপুরকে কেন্দ্র করে ঘাঁটি গেড়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সর্বত্র প্রচার চালাবেন। কেননা, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যস্থলে গঙ্গারামপুর রয়েছে বলে প্রচারে সুবিধা হবে। সে কারণে বিপ্লববাবুর পাড়া দুর্গাবাড়ি এলাকায় অর্পিতাদেবীর থাকার জন্য বিপ্লববাবু বাড়িভাড়াও ঠিক করে দিয়েছেন।
কালিয়াগঞ্জে রওনা হওয়ার আগে অর্পিতাদেবী বলেন, “সকলের সঙ্গে পরিচিত হতে এসেছি। তা ছাড়া বামফ্রন্ট এই এলাকার উন্নতির জন্য কী করেছে এবং করতে পারেনি, এসব জেনে নিচ্ছি। শীঘ্রই প্রচারে নামব।” এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু বলেন, “১২ মার্চ কুমারগঞ্জ ব্লকে অর্পিতাকে নিয়ে কর্মী বৈঠক হবে। পরদিন ১৩ মার্চ বর্ধিত জেলা কমিটির সভায় প্রার্থী পরিচিতির পর ভোটের রণকৌশল ঠিক করে প্রচারে নামা হবে।”