হাসপাতালে জখম ভাস্বরিতা।
বেপরোয়া যান চলাচলের জেরে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হল দুই স্কুল ছাত্রী। এক জন পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। অন্য জন্য ষষ্ঠ শ্রেণিতে। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে নিউটাউন এলাকার একটি স্কুলের সামনে। অপর ঘটনাটি মিলন সঙ্ঘ এলাকায়। দুটি ঘটনাতেই রিকশায় করে ছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছিল। ছোট গাড়ি রিকশায় ধাক্কা মারে। মিলন সঙ্ঘ এলাকায় গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। প্রায় আধঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে এলাকায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের বক্সা ফিডার রোড ও আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রাম রোডের পাশে বেশ কিছু স্কুল রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল শুরু ও ছুটির সময় এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের ভিড় হলেও পুলিশের তরফে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে প্রায়শই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “দুটি পৃথক দুর্ঘটনা হয়েছে ঠিকই তবে অভিযোগ জমা পড়েনি। স্কুলের সামনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ টাউন গার্লস হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির জখম ছাত্রী ভাস্বরিতা পালের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। একটি দাঁতও ভেঙেছে। ওই ছাত্রীকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি ও রিকশাটি থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মিলন সঙ্ঘ এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল দশটা নাগাদ হঠাৎ বিকট আওয়াজ হয়। দেখা যায় একটা রিকশা উল্টে পড়েছে। ছাত্রীটি রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। ছোট গাড়িটি সেখানে ছিল। উত্তেজিত জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে। নিউটাউন গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুভাষ সরকার জানান, “বহুবার ট্রাফিক পুলিশের কথা বলা হয়েছে। কিছুদিনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ থাকে। তার পরে তা তুলে নেওয়া হয়। আমরা ফের পুলিশকে জানাব।”
জনরোষের ছবি। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের
মিলন সঙ্ঘ এলাকায় নারায়ণ দে-র তোলা ছবি।
অপরদিকে সকালে স্টেপিং স্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চালী পালকে নিয়ে আসছিলেন এক রিকশা চালক। হঠাৎ পিছন থেকে একই রকমভাবে একটি ছোট গাড়ি ধাক্কা মারলে রিকশা উল্টে যায়। চালক ও ওই ছাত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ছাত্রীটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও রিকশা চালকের মাথায় সেলাই পড়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক দ্বীপায়ন ঘোষ। তিনি বলেন, “স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তাদের বলা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”