ব্যাডমিন্টনে দেশে সেরা হওয়াই লক্ষ্য

রাজ্যস্তরে সাফল্য মিললেও এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে জাতীয় খেতাব! সেটাকেই এখন পাখির চোখ মনে করছেন উত্তর দিনাজপুর ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। জেলা থেকে ব্যাডমিন্টনে জাতীয় খেতাব মিললেই ষোলোকলা পূর্ণ হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। খেলোয়াড়দের সেই লক্ষ্যপূরণটাই এখন সব চেয়ে বড় ব্যাপার তাঁদের কাছে। কেন না, শূন্য থেকে শুরু করে ব্যাডমিন্টনে জেলার এই উত্তরণের বৃত্ত অসম্পূর্ণ থেকে যাবে জাতীয় খেতাব না পাওয়া পর্যন্ত। খেলোয়াড়েরাও সেটা বিলক্ষণ জানেন।

Advertisement

অভ্রনীল রায়

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৫২
Share:

জিম রয়েছে। তবে আরও উন্নত জিম ও সুযোগসুবিধা চান ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যস্তরে সাফল্য মিললেও এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে জাতীয় খেতাব! সেটাকেই এখন পাখির চোখ মনে করছেন উত্তর দিনাজপুর ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। জেলা থেকে ব্যাডমিন্টনে জাতীয় খেতাব মিললেই ষোলোকলা পূর্ণ হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। খেলোয়াড়দের সেই লক্ষ্যপূরণটাই এখন সব চেয়ে বড় ব্যাপার তাঁদের কাছে। কেন না, শূন্য থেকে শুরু করে ব্যাডমিন্টনে জেলার এই উত্তরণের বৃত্ত অসম্পূর্ণ থেকে যাবে জাতীয় খেতাব না পাওয়া পর্যন্ত। খেলোয়াড়েরাও সেটা বিলক্ষণ জানেন।

Advertisement

কিন্তু কেন সেই খেতাব মিলছে না? সমস্যা কোথায়? ব্যাডমিন্টনের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বাকি পথটা পেরিয়ে দেশের মানচিত্রে মাথা তুলে দাড়ানোর সেই লড়াইটাই বাকি রয়েছে। আরও উন্নত কোচিং এবং পরিকাঠামোর ঘাটতি সে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠেছে। বাধা হয়ে উঠেছে জেলার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি। রয়েছে খেলোয়াড়দের খাওয়া দাওয়ার সমস্যাও। কাটিয়ে উঠতে হবে ব্যাডমিন্টনে আরও বেশি করে মনোযোগী হয়ে উঠতে না পারার বাধা। জেলা থেকেই উঠে আসা রাজ্যস্তরের সফল প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রশান্ত সরকার এখন সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তাও। তিনি বললেন, “ব্যাডমিন্টনে শীর্ষে পৌঁছতে গেলে আরও নিখুঁত হতে প্রশিক্ষণ দরকার। উন্নত জিম দরকার। দরকার দক্ষ প্রশিক্ষকেরও।”

সংগঠনের একাংশের মতে, খেলোয়াড়দের নিয়মিত ভাল খাবার দরকার। যা এখানকার অনেক পরিবারের পক্ষেই সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। সাধারণত আবাসিক অ্যাকাডেমি হলে একটা নিয়মের মধ্যে রাখা যায়। কিন্তু আলাদা ভাবে খেলোয়াড়দের সেই নিয়মের মধ্যে রাখা মুশলিক। প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক উঠতি প্রতিভা রয়েছে। তবে পরিবারের আর্থিক সমস্যার জেরে তাঁরা খেলা চালাবেন, না জীবন-জীবিকার দিকে ঝুঁকবেন সেটাই অনেকের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয়।

Advertisement

তা ছাড়া পরিকাঠামোগত দিকেও আরও উন্নতি দরকার। কোর্টে চাই উপযুক্ত আলো। যে সব আলোর ব্যবস্থা এখানে রয়েছে তা জাতীয় স্তরে খেলার মতো নয়। এখানে এক রকম আলোতে অনুশীলন। পরে ম্যাচের সময় জাতীয় স্তরে অন্য রকম পরিবেশে মানিয়ে নিতেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। সিমেন্টের কোর্টে অনুশীলনেও সমস্যা রয়েছে। তাতে চোট আঘাতের প্রবণতা বাড়ছে। দরকার ‘উজেট কোর্ট’। জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে সেই রকম কোর্টেই খেলা হয়ে থাকে। তাই অনুশীলনের সময়ও সে ধরনের কোর্ট পেলে ভাল হয়। অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন জানান, সরকারি স্তরে ওই ধরনের কোর্ট তৈরির সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। তা মিললে আরও দ্রুত লক্ষ্যপূরণ হবে বলেই আশা সকলের।

(শেষ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন