ব্যবসায়ীকে ছুরি, লুঠ চাঁচলে

কাপড়ের ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে শূন্যে গুলি ও বোমাবাজি করে টাকা লুঠের ঘটনায় চার দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে মালদহের সামসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের হেফাজত থেকে পাইপগান, কার্তুজ, হাঁসুয়া, ছুরি, বল্লম উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৪
Share:

কাপড়ের ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে শূন্যে গুলি ও বোমাবাজি করে টাকা লুঠের ঘটনায় চার দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে মালদহের সামসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের হেফাজত থেকে পাইপগান, কার্তুজ, হাঁসুয়া, ছুরি, বল্লম উদ্ধার হয়েছে। নতুন করে সামসি এলাকায় লুঠপাটের জন্য তারা জড়ো হয়েছিল। ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে লুঠের ঘটনায় ধৃতরা ছাড়াও আরও পাঁচ দুষ্কৃতী ছিল বলে তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে। রবিবার ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের পাঁচদিনের পুুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “চারজনকে ধরা হয়েছে। দলটি চাঁচলেও লুঠপাটের ঘটনায় জড়িত বলে জানা গিয়েছে। দলটির বাকিদের খোঁজ চলছে।”

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে শেখ আসবার রতুয়ার জামনগরের, প্রদীপ ঘোষ কাহালা, সহিমুদ্দিন শেখ কালিয়াচক ও শেখ মনিরুদ্দিন মানিকচকের ভূতনি’র বাসিন্দা। সামসিতে লুঠপাটের পর গা ঢাকা দিলেও শনিবার রাতে ফের তারা সামসির একটি পেট্রল পাম্পের পিছনে মাঠে জড়ো হয়েছিল। সম্ভবত তাদের অন্য কোনও এলাকায় হানা দেওয়ার ছক ছিল।

এরমধ্যে চাঁচল, সামসি ও রতুয়া এলাকায় একের পর এক ঘটনার জেরে এলাকা জুড়েই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল। গত তিন সপ্তাহে চাঁচলের সিহিপুর, রতুয়ার অমরসিঙ্গি, চাঁচলের আদর্শপল্লিতে লুঠপাটের ঘটনা ছাড়াও একাধিক চুরির ঘটনাও ঘটেছে। এসডিপিও-র নেতৃত্বে অভিযানে চারজন ধরা পড়ে।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামসি রেল স্টেশনের সামনে লুঠের ঘটনাটি ঘটে। ব্যবসার টাকা সংগ্রহ করে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরতে স্টেশনে যাচ্ছিলেন নবদ্বীপের কাপড়ের ব্যবসায়ী কমল হাজরা। স্টেশনের সামনে তাঁকে ছুরি মেরে শূন্যে গুলি চালিয়ে বোমাবাজি করে টাকা লুঠ করে পালয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের তিনটি জিপে। দুইঘন্টা ধরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।

চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম ও সামসি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অজয় শর্মা জানান, যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। পুলিশকে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন