বাড়ি ফিরল নিখোঁজ নাবালিকা

আট মাস আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনা থেকে নিখোঁজ হওয়া নাবালিকার খোঁজ মিলল কলকাতায়। শনিবার কলকাতার এক দম্পতি নাবালিকাকে শিলিগুড়িতে পরিবারের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৪ বছরের ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার আগে নকশালবাড়ি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে নাবালিকাকে দেখা গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৪ ০১:৪২
Share:

আট মাস আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনা থেকে নিখোঁজ হওয়া নাবালিকার খোঁজ মিলল কলকাতায়। শনিবার কলকাতার এক দম্পতি নাবালিকাকে শিলিগুড়িতে পরিবারের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৪ বছরের ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার আগে নকশালবাড়ি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে নাবালিকাকে দেখা গিয়েছিল। ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকার মা প্রধাননগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে কলকাতার এক দম্পতি নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে তাকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শনিবার কলকাতার বাসিন্দা সেই দম্পতি নাবালিকাকে প্রধাননগর থানায় নিয়ে আসেন। নাবালিকা এবং দম্পতিকে জেরা করে এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মহিলা শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত যুবক নাবালিকাকে ধৃত মহিলার কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “ওই নাবালিকাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে মূল অপরাধীর খোঁজ করা হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সুকনায় হীরামণিদেবীর বাড়িতে এক দম্পতি এসে জানান, তাদের মেয়ে কলকাতায় রয়েছে। ফোনে যোগাযোগ করে তাদের শিলিগুড়ি আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই মত শনিবার শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানায় পুলিশ ও একটি আইনি সহায়তা প্রদান সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে নাবালিকাকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক প্রথমে ওই নাবালিকাকে নিয়ে বীণা দাস নামে এক মহিলার কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপরে, কার্শিয়াঙের এক দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজের জন্য নাবালিকাকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কলকাতার এক দম্পতির কাছে যায় নাবালিকা। কার্শিয়াঙের দম্পতির কাছে বীণা নিজেকে নাবালিকার মা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওই দম্পতির থেকে কাজের মাইনে বাবদ আগাম ৬ হাজার টাকা বীণা নেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু নাবালিকার কাছে ওই দম্পতি জানতে পারেন বীণা তার মা নয়, এরপরেই তার নিরাপত্তার জন্য কলকাতায় মেয়ের বাড়িতে নাবালিকাকে পাঠিয়ে দেয় কার্শিয়াঙের দম্পতি। কার্শিয়াঙের দম্পতির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ বীণা দাসকে গ্রেফতার করেছে।

এ দিন বাড়ি ফেরার পরে নাবালিকা বলে, “তাকে ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে মারধর করত বীণা নামে ওই মহিলা। তবে কলকাতায় তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে বাড়ি ফিরতে পেরে সে খুশি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন