ভাঙাচোরা রাস্তা নিয়ে আন্দোলন তুফানগঞ্জে

কোনও পিচের চাদর উঠেছে, কোনও রাস্তার মাঝে বড় গর্ত। নুড়ি পাথর ছড়িয়ে রাখা রাস্তায়, উড়ছে ধুলো। শহরের অধিকাংশ রাস্তার দশা এমনই বলে অভিযোগ তুলেছেন তুফানগঞ্জের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুর এলাকার প্রায় সব ওয়ার্ডেই একাধিক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০২:৪৯
Share:

তুফানগঞ্জে অধিকাংশ রাস্তারই এই দশা। ছবিটি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব।

কোনও পিচের চাদর উঠেছে, কোনও রাস্তার মাঝে বড় গর্ত। নুড়ি পাথর ছড়িয়ে রাখা রাস্তায়, উড়ছে ধুলো। শহরের অধিকাংশ রাস্তার দশা এমনই বলে অভিযোগ তুলেছেন তুফানগঞ্জের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুর এলাকার প্রায় সব ওয়ার্ডেই একাধিক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। দুর্ঘটনাও প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। বৃষ্টি হলে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন এমন চললেও পুর কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই।

Advertisement

বামেদের দখলে থাকা তুফানগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ সরকার বলেন, “সব ওয়ার্ডেই একাধিক রাস্তা সংস্কার করা প্রয়োজন। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে পুরসভার মাসিক সভায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাস্তা তৈরির তালিকা হবে। আর্থিক বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২টি ওয়ার্ডে শতাধিক রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৩০ কিলোমিটার ভেঙে গিয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের কাছে সংস্কারের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। তা না মেলাতেই রাস্তা সংস্কারের কাজ করা যায়নি বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন যা অবস্থা তাতে শহরের রাস্তা সংস্কার করতে পাঁচ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

তুফানগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড, হাসপাতাল রোড, দরিয়াবালাই রোড, শিশুমেলা রোড, কামারপট্টি রোড, সত্যজিৎ সরণী, জে টি রোড, হরেকৃষ্ণ কলোনি, বিবাদি বাগ, সুকান্তপল্লি, বিডিও অফিস, সিনেমা হল, নাটাবাড়ি রোড দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। পুরসভার বিরোধী দল তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্ত বর্মা বলেন, “শহরের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও, পুরসভা সে সব মেরামতের বিষয়ে উদ্যোগী হয়নি। পরিষেবা দিতে বামেদের পুরবোর্ড ব্যর্থ। সঠিক পরিকল্পনা না পাঠানোয় বরাদ্দ মিলছে না। এখন অভিযোগ তুলে ওরা নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চাইছেন।” তুফানগঞ্জের যুব কংগ্রেস নেতা শুভময় সরকার বলেন, “দ্রুত মেরামত কাজ না হলে বর্ষার মরসুমে বাসিন্দার দুর্ভোগ বাড়বে। তাই আন্দোলনের পরিকল্পনা হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন