ভোট প্রচারে মিঠুন-মুকুল মালবাজারে

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিজয়কৃষ্ণ বর্মনের সমর্থনে মালবাজারে সভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। কলোনি ময়দানে মিঠুনকে দেখতে কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ ভিড় করেন। মঞ্চের নীচ থেকে অভিনেতাকে ধরতে আর মোবাইলে ছবি তোলার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বাদ যাননি দলের নেতা-কর্মীরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৪
Share:

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিজয়কৃষ্ণ বর্মনের সমর্থনে মালবাজারে সভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। কলোনি ময়দানে মিঠুনকে দেখতে কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ ভিড় করেন। মঞ্চের নীচ থেকে অভিনেতাকে ধরতে আর মোবাইলে ছবি তোলার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বাদ যাননি দলের নেতা-কর্মীরাও। মিঠুনকে বলতে হয়, “যত ছবি তুলতে হয় তুলুন। তারপর বলব।” মঞ্চের একেবারে সামনে চলে আসা সমর্থকদের বসাতে তিনি বলেন, “আপনারা না বসলে আমিও বলব না। এর পর পরিচিত ভঙ্গিতে এমএলএ ফাটাকেষ্টর ডায়লগও শোনান তিনি।

Advertisement

মিঠুন এদিন বলেন, “শুধু ডায়লগ শোনাতে নয়, আমি এসেছি বাংলার হয়ে কাজ করতে। নিজের টাকায় অনেক সমাজসেবা করেছি। আমাকে দিদি এখন আরও কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্লা এ বার ভারী। তাই অন্য কোথাও ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না।” জলপাইগুড়ি থেকে প্রার্থীকে জেতালে বিজয়বাবু লোকসভায় আর তিনি রাজ্যসভায় আওয়াজ তুলবেন বলে জানিয়ে দেন। বিজয়বাবু কেমন কাজ করছেন তা জানতে বিজয়বাবুকে তিনি ফোন করে খবরও নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আপনারা সকলকে সুযোগ দিয়েছেন। ভাই হয়ে আমার আবদার, তৃণমূলকে সুযোগ দিন।” মিঠুনের আগে বলতে উঠে মুকুল রায় বলেন, “আপনারা এখান থেকে বারবার বামপন্থীদের জিতিয়ে এসেছেন। এ বারে আমাদের সুযোগ দিন। কংগ্রেস সারা দেশে ১০০টিও আসন পাবে না। আর বিজেপিও এ বারে ক্ষমতায় আসছে না। পাহাড় অশান্ত থাকায় মালবাজার সহ ডুয়ার্সে ১৯৮৪ সালের পর থেকে শান্তি ছিল না। বর্তমান সরকার শান্তি ফিরিয়েছে। বিজেপি ফের বিবাদের চেষ্টা করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন