ভোট-সন্ত্রাসের তদন্তে পুলিশ

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিন ওদলাবাড়ির ধুমসিপাড়ায় তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে গোলমালের ঘটনা নিয়ে তদন্ত নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওদলাবাড়ি অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে সিপিএমের ২৭ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ধুমসিগাড়া এলাকার সিপিএমের কৃষকসভার নেত্রী আফিয়া খাতুন তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি ও মালবাজার শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৭
Share:

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিন ওদলাবাড়ির ধুমসিপাড়ায় তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে গোলমালের ঘটনা নিয়ে তদন্ত নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওদলাবাড়ি অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে সিপিএমের ২৭ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ধুমসিগাড়া এলাকার সিপিএমের কৃষকসভার নেত্রী আফিয়া খাতুন তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে দু’পক্ষের কাউকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিমা শেরিং ভুটিয়া এই দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, “দুটি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত হচ্ছে।”

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের জলপাইগুড়ির প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মন ধুমসিগাড়া বুথে অদূরে গেলে বিনা প্ররোচনায় তৃণমূলের কিছু লোকজন তাঁকে গালি দেন। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই ঘটনার পরে পুলিশ গোলমালে জড়িত সন্দেহে ২ জন সিপিএম কর্মীকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

সিপিএম অবশ্য দাবি করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীই সেই দিন প্ররোচনা দিয়ে গোলমাল শুরু করিয়ে দিয়েছিলেন। সিপিএমের মালবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক চানু দে-এর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীই গোলমাল শুরু করিয়ে ছিলেন। জেলা সিপিএম সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “ওদলাবাড়ির একটি বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলার রাস্তা আটকে কয়েক জন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক জানতে চান, তিনি কোথায় ভোট দিয়েছেন। সেই সময়ে আশপাশের লোকজন সেটা শুনে প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। ওই সময় তৃণমূল প্রার্থী ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা বাড়ে।” সিপিএমের অভিযোগ, এর পরে বিনা কারণেই তাঁদের দুজন কর্মীকে থানায় নিয়ে হয়রান করেছে পুলিশ।

যদিও তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “আমি ধুমসিগাড়ায় পৌঁছে বড় জটলা দেখতে পাই। তখন নেমে সামনে যাই।” তাঁ অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামামাত্রই আমাকে কুৎসিত ভাষায় সিপিএম সমর্থকেরা আক্রমণ করেন। মারধরও করেন কয়েকজনকে। দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের বিষয়টি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলে অন্যত্র চলে যাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন